মঙ্গলবার অর্থাৎ আগামীকালই চন্ডীগড় মেয়র নির্বাচনের সমস্ত ব্যালট পেপার জমা করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। দুপুর ২ টোর মধ্যে আদালতের সামনে ব্যালট পেপারগুলি জমা করতে হবে। পাশাপাশি ঘটনার দিনের যাবতীয় সিসিটিভি ফুটেজও জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার চন্ডীগড় মেয়র নির্বাচন মামলার শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে মামলাটি উঠেছিল। বেঞ্চ জানায়, ডেপুটি কমিশনারের উচিত নতুন একজনকে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা, যিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত নন।
বেঞ্চ আরও জানায়, যেভাবে ঘোড়া কেনা বেচা হচ্ছে তাতে আমরা খুবই দুঃখিত। ঘোড়া কেনা বেচা রুখতেই আদালত নিজে ব্যালট পেপার দেখবে। পাশাপাশি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করার জন্য রিটার্নিং অফিসারকে অভিযুক্ত করা উচিত বলে পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচন। এই নির্বাচনে একসাথে লড়েছিল আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেস। সেখানে ৩৬টি ভোটের মধ্যে জোটের প্রার্থী কুলদীপ সিং পান ২০টি ভোট এবং বিজেপি প্রার্থীর ঝুলিতে যায় ১৬টি ভোট। কিন্তু পরে দেখা যায়, জোট প্রার্থীর ৮টি ভোট বাতিল করে দিয়ে বিজেপি প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করেন প্রিসাইডিং অফিসার অনিল মসিহ। এর বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় আপ। গণনা কেন্দ্রের একটি সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ্যে আনে আপ, যেখানে প্রিসাইডিং অফিসারকে একাধিক ব্যালট পেপারের উপর লাল কালি দিয়ে ক্রশ চিহ্ন করতে দেখা গেছে।
এর আগের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় প্রিসাইডিং অফিসারের উদ্দেশ্যে বলেন, “মসিহ সাহেব, আমি আপনাকে প্রশ্ন করছি, আপনি যদি সঠিক উত্তর না দেন তবে আপনার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। এটি একটি গুরুতর বিষয়। আমরা আপনার ভিডিওটি দেখেছি। আপনি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে ব্যালট পেপারে ক্রস চিহ্ন দিয়ে কী করছিলেন? ক্রস চিহ্ন কেন দিচ্ছিলেন বলুন?"
অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টে মামলাটির শুনানি হওয়ার আগেই চন্ডীগড় মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেন বিজেপির মনোজ সোনকর। আবার ৩ আপ কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। যার কারণে পুনরায় নির্বাচন হলেও পাল্লা ভারী থাকবে বিজেপির।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন