নিঠারি হত্যা মামলায় দুই আসামিরই ফাঁসির সাজা খারিজ করলো এলাহাবাদ হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতে দুই অভিযুক্ত মণীন্দ্র সিং পান্ধের এবং সুরেন্দ্র কোহলির ফাঁসির সাজা শোনানো হয়েছিল।
সোমবার উত্তরপ্রদেশের নয়ডার নিঠারি হত্যা কাণ্ডের ১৭ বছর পর দুই মূল অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা বাতিল করলো হাইকোর্ট। পাশাপাশি সুরেন্দ্রকে ১২টি মামলায় এবং মণীন্দ্রকে ২টি মামলায় বেকসুর খালাস করেছে হাইকোর্ট। ২০০৬ সাল নাগাদ খবরের শিরোনামে এসেছিল নিঠারি হত্যাকাণ্ড। যা দেখে গোটা দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল।
২০০৫-২০০৬ সালের মধ্যে নিঠারি থেকে একাধিক যুবতী, কিশোরী নিখোঁজ হতে শুরু করে। যা নিয়ে ওই এলাকায় হইচই পড়ে যায়। ঘটনার তদন্তভার যায় সিবিআই-র হাতে। তদন্তে নেমে ২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী মণীন্দ্র সিং পান্ধেরের বাড়ি থেকে ১৯টি কঙ্কাল উদ্ধার করে সিবিআই।
অভিযোগ ওঠে, যুবতীদের উপর যৌন নির্যাতন চালাতো ওই দুই মূল অভিযুক্ত। মণীন্দ্রর পরিচারক ছিল সুরেন্দ্র। নির্যাতন চালানোর শেষে যুবতী-কিশোরীদের খুন করে তাদের দেহ টুকরো টুকরো করে প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে খেয়ে ফেলতো মণীন্দ্র এবং সুরেন্দ্র। এমনকি মৃতদেহের সঙ্গে সঙ্গমেরও অভিযোগ ওঠে দুজনের বিরুদ্ধে।
যথেষ্ট প্রমাণের অভাবে নিঠারি কাণ্ডের ১৯টি মামলার মধ্যে তিনটি মামলা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। বাকি ১৬টি মামলার মধ্যে সাতটিতে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয় কোহলিকে।
প্রসঙ্গত, ওই ১৯টি কঙ্কালের মধ্যে একটি কঙ্কাল ছিল বাঙালি তরুণী পিঙ্কি সরকারের। তাঁকেও খুন করে খেয়ে ফেলেছিল এই দুই অভিযুক্ত। পরিচারক সুরেন্দ্র সেই কথা জেরায় স্বীকারও করে নিয়েছিল। পিঙ্কির পোশাক শনাক্ত করেছিলেন তাঁর বাবা-মা। পিঙ্কির চটিজুতো শনাক্ত করেছিল সুরেন্দ্র নিজেই। পিঙ্কি হত্যা কাণ্ডে মণীন্দ্র এবং সুরেন্দ্রকে ফাঁসির নির্দেশ দেন সিবিআই-র বিশেষ আদালতের বিচারপতি পবন তিওয়ারি। এত বছর পর তাদের ফাঁসির সাজা খারিজ হওয়ায় ফের চাপানউতোর শুরু হয়েছে দেশজুড়ে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন