উত্তরপ্রদেশ সরকার কর্তৃক ডঃ কাফিল খানের বিরুদ্ধে জারি করা দ্বিতীয় সাসপেনশন অর্ডার স্থগিত করলো এলাহাবাদ হাইকোর্ট। বাহরাইচ জেলা হাসপাতালে এক রোগীর চিকিৎসা করা নিয়ে সরকারী নীতির সমালোচনা করায় ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই দ্বিতীয়বার কাফিল খানকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে হাসপাতাল স্টাফদের সাথে অভব্য আচরণ এবং অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ আরোপ করা হয়েছিল।
২০১৭ সালের আগস্ট মাসে গোরক্ষপুরের বিআরডি মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেনের অভাবে ৬০ শিশু মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড ছিলেন তিনি। এর ওপর তাঁকে ফের সাসপেন্ড করা হয়েছিল।
দ্বিতীয় সাসপেনশন নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করেছিলেন কাফিল খান। পিটিশনে তিনি জানিয়েছিলেন, সাসপেনশন অর্ডার দেওয়ার পর দুই বছরের বেশি সময় কেটে গেলেও, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত এখনো শুরুই হয়নি।
এই পিটিশনের শুনানিতে বিচারপতি সরল শ্রীবাস্তব উত্তরপ্রদেশ সরকারকে ২০১৯ সালের সাসপেনশন সংক্রান্ত তদন্ত আগামী এক মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। ৯ সেপ্টেম্বর পাস হওয়া এই আদেশে, যা আজ সংবাদমাধ্যমের হাতে এসে পৌঁছেছে, সেখানে বলা হয়, তদন্তে কাফিল খানকে সহযোগিতা করতে হবে। যদি তিনি তা না করেন তাহলে শৃঙ্খলা রক্ষা কর্তৃপক্ষ তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারকে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ১১ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
খানের আইনজীবীর যুক্তি ছিল, এমন কোনো আইন নেই যেখানে একজন যখন ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড রয়েছেন, তখন তাঁর বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বার সাসপেনশন অর্ডার জারি করতে পারে রাজ্য সরকার।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে আদালতে উপস্থিত থাকা অ্যাডিশনাল চিফ স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল এ কে গোয়েল জানিয়েছেন, চলতি বছরের ২৭ আগস্ট খানের বিরুদ্ধে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে এবং এর একদিন পর রিপোর্টের একটি কপি খানকে পাঠানো হয়েছিল। তিনি আরো জানান, সাসপেন্ড থাকাকালীন দ্বিতীয় সাসপেনশন জারি করার ক্ষমতা রয়েছে শৃঙ্খলা রক্ষা কর্তৃপক্ষের।
তবে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তদন্ত দ্রুত শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন