পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া বা PFI-কে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো কেন্দ্র সরকার। গত এক সপ্তাহে দেশব্যাপী PFI-এর অফিসগুলিতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রায় আড়াইশ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। এরপরই সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ এনে ৫ বছরের জন্য সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র।
বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকার জানিয়েছে, PFI এবং এর অনুমোদিত সংস্থাগুলিকে Unlawful Activities (Prevention) Act বা UAPA-এর অধীনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, PFI এবং তার অনুমোদিত সংস্থাগুলি বেআইনি কার্যকলাপের সাথে যুক্ত, যা দেশের অখন্ডতা সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর। দেশের শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সমাজের একটি নির্দিষ্ট অংশকে মৌলবাদী করার জন্য একটি গোপন এজেন্ডা অনুসরণ করছে PFI। এই সংগঠনটি দেশের সাংবিধানিক কর্তৃত্বের প্রতি সর্বদা চূড়ান্ত অসম্মান প্রদর্শন করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে আসা বিপুল অর্থ এবং আদর্শগত সমর্থনের (Ideological Support) সাহায্যে PFI দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে উঠেছে। জনমানসে সন্ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করতে এর আগেও বেশ কয়েকটি অপরাধমূলক কার্যকলাপ এবং নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে PFI সদস্যরা।
সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া, জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ, ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া-র সঙ্গে PFI-এর যোগসূত্র আছে। কর্ণাটক, গুজরাট এবং উত্তর প্রদেশ - এই তিনটি রাজ্য থেকে এই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
PFI ছাড়াও এর যে অনুমোদিত সংস্থাগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলির মধ্যে রয়েছে - রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, অল ইন্ডিয়া ইমামস কাউন্সিল, ন্যাশনাল কনফেডারেশন অফ হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন, ন্যাশনাল উওমেন’স ফ্রন্ট, জুনিয়র ফ্রন্ট, এমপাওয়ার ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং রিহ্যাব ফাউন্ডেশন, কেরালা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন