ত্রিপুরায় ফের উপনির্বাচনের দাবি জানালো সিপিআইএম। শুক্রবার ফলাফল ঘোষণা করা উপনির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যাপক রিগিং-র অভিযোগ করেছে বামেরা। নির্বাচনে কারচুপি করেই বিজেপি জিতেছে বলে দাবি সিপিআইএমের।
শুক্রবার দেশের ৬ রাজ্যের ৭টি আসনে উপনির্বাচন হয়েছে। ৭টি আসনের মধ্যে দুটি ছিল ত্রিপুরায় - একটি ধনপুর এবং অন্যটি বক্সানগর। দুটি আসনেই জেতে বিজেপি। যার তীব্র বিরোধিতা করেছেন সিপিআইএম নেতৃত্ব। এর মধ্যে বক্সানগরটি সিপিআইএম-এর দখলে ছিল এবং ধনপুর বিজেপিরই ছিল। ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে লাগামছাড়া কারচুপির অভিযোগ তুলে গণনা বয়কট করেছিল সিপিআইএম।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে সিপিআইএম জানিয়েছে, "বক্সানগরে বিজেপি পেয়েছে ৮৯ শতাংশ ভোট এবং ধনপুরে পেয়েছে ৭১ শতাংশ ভোট যা রাজ্যের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। সিপিআইএম-র কাছে বক্সানগর বিধানসভা হেরেছিল বিজেপি। সেই বিধানসভায় কীভাবে ৮৯ শতাংশ ভোট পেল বিজেপি? রিগিং ছাড়া এই ধরণের ফল অসম্ভব।"
সিপিআইএম-র বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, পুনরায় নির্বাচন করতে হবে ওই আসনে। স্বচ্ছভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তা দিয়েই নির্বাচন করাতে হবে। নয়তো বিজেপি ফের রিগিং করে জিতে যাবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গণনা বয়কটের ডাক দিয়েছিল সিপিআইএম ত্রিপুরা। সিপিআইএম জানিয়েছিল, ধনপুর এবং বক্সানগরের দুই বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের দিন ক্ষমতাসীন বিজেপির সমর্থক ও গুন্ডারা ভয়ভীতি দেখিয়েছিল এবং ব্যাপক কারচুপি করেছিল। এই অনিয়মের ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে তাদের এই সিদ্ধান্ত।
উল্লেখ্য, ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে বক্সানগর আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন সিপিআইএম প্রার্থী সামসুল হক। পেয়েছিলেন ১৯,৪০৪ ভোট। মোট ভোটের ৫০.৩৪ শতাংশ। বিজেপি প্রার্থী তফজল হোসেন পেয়েছিলেন ১৪,৫৫৫টি ভোট। সামসুল হকের মৃত্যুর কারণে উপনির্বাচনের প্রয়োজন হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন