কর্ডেলিয়া ক্রুইজে তল্লাশির সময় নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর টিমের সঙ্গে থাকা ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট উইটনেস’ কিরণ পি গোসাভি-কে নিয়ে জল আরও ঘোলা হল। আপাতত পলাতক এনসিবির ‘ইন্ডিপেনডেন্ট উইটনেস’ কিরণ পি গোসাভির বিরুদ্ধে পুনে পুলিশের পক্ষ থেকে সোমবার প্রতারণা ও জালিয়াতির আরও এক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে পালঘর পুলিশের পক্ষ থেকে দু’বছরের পুরোনো এক ঘটনায় কিরণ পি গোসাভির বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের করা হয়। এই ঘটনার পরেই পুনে পুলিশ গোসাভির সহকারী শেরভানু কুরেশিকে মুম্বাই থেকে আটক করে। জনৈক চিন্ময় দেশমুখ গোসাভি ও কুরেশির বিরুদ্ধে ৩ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ আনেন। ২০১৮ সালে মালয়েশিয়াতে উচ্চ বেতনের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই প্রতারণা করা হয় বলে অভিযোগ।
একই সঙ্গে এডাওয়ান গ্রামের আদর্শ কেনি এবং উৎকর্ষ তারে নামক দুই ব্যক্তি গোসাভির বিরুদ্ধে পালঘরে একটি অভিযোগ জানায়। ওই অভিযোগ অনুসারে ২০১৮ সালেই কুয়ালালামপুরে হোটেলে ভালো চাকরি দেবার নাম করে তাঁদের ১.৬৫ লক্ষ টাকা প্রতারণা করে কিরণ পি গোসাভি।
এর পরেই পুনে পুলিশের পক্ষ গোসাভির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়। পুনে পুলিশের দুটি স্পেশাল টিম গোসাভির সন্ধানে মহারাষ্ট্র এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্যে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। এই মুহূর্তে গোসাভির বিরুদ্ধে ৪টি মামলা আছে এবং গত ১৪ অক্টোবর পুনে পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর অনুসারে কিরণ পি গোসাভি জাল ভিসার এবং বিমানের টিকিটের র্যাকেটের সঙ্গে যুক্ত। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের হাতে আসা তথ্য অনুসারে গোসাভি নিজেকে প্রাইভেট ডিটেকটিভ বলে দাবি করে এবং সে ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে যোগাযোগ আছে। তাঁর চটকদার জীবনযাত্রার জন্য তিনি পরিচিত। অভিযোগ, তিনি এবং তাঁর সহযোগীরা বহু মানুষকে বিদেশে ভালো চাকরি দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছেন। মুম্বাই ছাড়াও বেশ কয়েকটি শহরে তাঁর অফিস আছে এবং এনসিবি এবং কিছু পুলিশের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর এনসিপি মুখপাত্র এবং মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক জানিয়েছিলেন, কর্ডেলিয়া ক্রুইজে তল্লাশি চালানোর সময় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিকদের সঙ্গে দু’জন বহিরাগত ছিলেন। যাদের মধ্যে একজন বিজেপি ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং অন্যজন এক প্রাইভেট গোয়েন্দা।
এই ঘটনার পরেই নবাব মালিকের সমালোচনা করে দ্য নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-র পক্ষ থেকে জানানো হয় মণীশ ভানুশালী এবং কিরণ গোসাভি ওইদিনের তল্লাশির সময় এনসিবি দলের সঙ্গে ইন্ডিপেন্ডেন্ট উইটনেস হিসেবে ছিলেন। এই দুজন সহ মোট ছ’জন ইন্ডিপেন্ডেন্ট উইটনেস ওইদিন এনসিবি দলের সঙ্গে ছিলো বলেও জানানো হয়।
ওইদিন এনসিবি তল্লাশি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নবাব মালিক বলেন, এই তল্লাশির সময় বিজেপি নেতা মণীশ ভানুশালী এবং একজন বেসরকারি গোয়েন্দা কিরণ পি গোসাভি এনসিবি দলের সঙ্গে ছিলেন। ছবিতে যাদের অভিযুক্তদের টেনে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
- with Agency Input
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন