রাজস্থানের কোটাতে ফের আত্মহত্যা করলেন এক পড়ুয়া। চলতি বছর কোটাতে এই নিয়ে ১৩ টি আত্মহত্যার ঘটনা প্রকাশ্যে এল। জানা গেছে, জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষা (JEE) –র প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ওই পড়ুয়া।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিহারের নালন্দা জেলার বাসিন্দা সন্দীপ কুমার কুর্মি জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষা (JEE) –র প্রস্তুতি নিতে কোটাতে এসেছিলেন। কোটার মহাবীর নগরে পিজিতে থাকতেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টা নাগাদ ওই পিজির আর এক পড়ুয়া সন্দীপকে তাঁর ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এরপর ওই কিশোর পিজির তত্ত্বাবধায়ককে জানালে, তিনি পুলিশকে খবর দেন।
এই বিষয়ে স্থানীয় থানার হেড কনস্টেবল জানিয়েছেন, মৃতের ঘর থেকে কোনো সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। তিনি আরও জানান, সন্দীপের ভাই সঞ্জিতও কোটায় মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষা NEET-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং দাদাবাড়ি এলাকায় একটি পৃথক পিজিতে থাকেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সন্দীপের বাবা-মা চারবছর আগে মারা গেছেন। বর্তমানে তারা তাদের কাকার কাছে থাকেন। পুলিশ আরও জানিয়েছে, সন্দীপের ঘরের সিলিং ফ্যানে অ্যান্টি সুইসাইড কোনো ডিভাইস বসানো হয়নি।
উল্লেখ্য, কোটায় আত্মহত্যা হার বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত হোস্টেল এবং পিজিতে অ্যান্টি-সুইসাইড ডিভাইস স্থাপন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এটি হল একটি স্প্রিংয়ের মতো কাঠামো যা সিলিং ফ্যানের সাথে সংযুক্ত থাকে। যখন ২০ কিলোর বেশি ওজনের কোনো জিনিস ফ্যানের সঙ্গে ঝোলানো হয়, তখন এটির সাথে সংযুক্ত স্প্রিংটি প্রসারিত হয় এবং সাইরেন বাজতে শুরু করে।
বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত শেষে সন্দীপের মৃতদেহ তাঁর ভাই সঞ্জিতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৯৪ ধারার অধীনে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন