গোরুপাচার মামলায় সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআই-র দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি। তবে ইডির মামলা থেকে জামিন না মেলায় আপাতত তিহার জেলেই থাকতে হবে অনুব্রতকে।
মঙ্গলবার গোরুপাচার মামলায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষ জামিন দিল তৃণমূল নেতাকে। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, অনুব্রত মণ্ডলকে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। পাশাপাশি বিচারপ্রক্রিয়ায় সাহায্য করতে হবে এবং সাক্ষীদের প্রভাবিত করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তের বেঞ্চ অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আর্জি খারিজ করেছিলেন। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছিলেন, অনুব্রত একজন 'প্রভাবশালী ব্যক্তি'। তিনি জামিন পেলে তদন্তে সমস্যা হতে পারে। পাশাপাশি অন্য দেশে গোরুপাচার ভারতের অর্থনৈতিক ও জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে।
এদিন সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে অনুব্রতের আইনজীবী বার বার জানিয়েছেন, গরু পাচার মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তেরা ছাড়া পাচ্ছেন। কিন্তু তাঁর মক্কেলকে আটকে রাখা হচ্ছে।
অন্যদিকে তৃণমূল নেতার জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই। সিবিআই এবারও প্রভাবশালী যুক্তিতে জামিনের বিরুদ্ধে সওয়াল করে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দেয়।
প্রসঙ্গত, গত ১১ অগস্ট গরু পাচার মামলায় বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতিকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তার পর যত সময় এগিয়েছে, ততই এই মামলার তদন্ত নানা দিকে মোড় নিয়েছে। গোরুপাচার মামলায় দশ বার নোটিশ পাঠালেও মাত্র একবার সিবিআইয়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। পরে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ইডিও।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন