আরাবল্লি পাহাড়ের পাদদেশের সবুজ বাঁচানোর নামে দিল্লি- হরিয়ানা সীমান্তের খোরি গ্রামের বাসিন্দাদের উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার আদালতের এই নির্দেশের বিরোধিতায় গ্রামের বাসিন্দারা প্রতিবাদ জানাতে জড়ো হলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। গত ৭ জুন রায়দানের পর আদালত ৬ সপ্তাহের মধ্যে হরিয়ানা সরকারের সম্মতিসূচক রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দিয়েছে।
বুধবার আদালতের এই নির্দেশের বিরোধিতায় গ্রামবাসীরা শান্তিপূর্ণ জমায়েত করে হরিয়ানা সরকারকে একটি বার্তাই দিতে গিয়েছিলেন। মহামারী পরিস্থিতিতে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে যেন এই উচ্ছেদ অভিযান না চালানো হয়। বাসিন্দারা আম্বেদকর পার্কে প্রবেশ করলেই ব্যাপক পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় তাদের। প্রতিবাদকারীদের উপর লাঠিচার্জও করা হয়।
পুলিশের পালটা দাবি, সুপ্রিম কোর্ট ও রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতই এই এলাকায় জমায়েত নিষিদ্ধ। প্রতিবাদ জানাতে আসা খোরি গ্রামের এক বাসিন্দা সুশীল কুমার জানিয়েছেন, নির্দোষ মানুষের উপর এভাবে অত্যাচার চালানো হলে, কোথায় নিজেদের দাবি ও উদ্বেগ জানাতে যাবে মানুষ? এদিন প্রতীকী প্রতিবাদ জানাতে এসেই লাঠিচার্জের মুখে পড়তে হয়েছে। যদি জমায়েত থেকে কোভিড সংক্রমণ ছড়ানোর ভয় থাকে, তাহলে একসঙ্গে ৪০০ পুলিশ কেন গ্রাম ঘিরে রেখেছে?
দেখা গিয়েছে, প্রতিবাদকারীদের টেনেহিঁচড়ে প্রতিবাদস্থল থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। বিসিইএম গ্রুপের ২ ছাত্র রবীন্দ কউর আও রাজবীর সিংকে আটক করে সূরজকুন্দ পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের দাবি, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকায় প্রতিবাদকারী ২ ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন