আরও তীব্রতর হচ্ছে কৃষকদের আন্দোলন। বুধবার থেকে ফের 'দিল্লি চলো' অভিযান শুরু হয়েছে তাঁদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য হরিয়ানা-দিল্লি সংলগ্ন সমস্ত সীমানায় বাড়তি পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। রেল স্টেশন এবং মেট্রো স্টেশনগুলিতেও ব্যাপকহারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা থেকে হাজার হাজার কৃষক জমায়েত করছেন শম্ভু সীমান্তে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষকরা প্রতিবাদে সোচ্চারে হচ্ছেন। দিল্লি চলো অভিযানে এখনও অনড় তাঁরা।
পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে সীমান্তগুলিতে আরও বাহিনী বাড়ানো হয়েছে। আধা সামরিক বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। কৃষকদেরকে কোনো মতেই বিশৃঙ্খলা ছড়াতে দেওয়া হবে না। কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জল কামানও। তবে কোনও বর্ডার সিল করা হয়নি।
পাশাপাশি প্রশাসন জানিয়েছে, দিল্লির রেল স্টেশন, মেট্রো স্টেশনগুলিতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে তল্লাশিও চলছে। বিশাল ট্র্যাফিক জ্যাম রয়েছে দিল্লীর রাস্তায়।
এর আগে খনৌরি সীমানায় সাংবাদিক বৈঠক করে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতা সরবন সিংহ পান্ধের জানিয়েছিলেন, ‘‘২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। তবে আমরা সীমানা ছাড়ব না। সেখানে বসেই অপেক্ষা করব।’’ আজ থেকে ফের তাঁদের অভিযান শুরু হয়েছে। তবে এখনও সামনের দিকে এগোয়নি তাঁরা।
এছাড়া ১০ মার্চ দেশজুড়ে ৪ ঘন্টার জন্য রেল রোকোর ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। পাশাপাশি ১৪ মার্চ, পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পক্ষ থেকে দিল্লিতে একটি 'মহাপঞ্চায়েত' অনুষ্ঠিত হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন