সেনা স্কুলের পরিচালন ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে কেন্দ্র সরকারের ভূমিকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সিপিআইএম পলিটব্যুরো। বামেদের অভিযোগ, দেশের সেনা স্কুলগুলির মধ্যেও সাম্প্রদায়িকতার বীজ ছড়ানো হচ্ছে। সেই কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে সংঘ পরিবার। যা সমাজের পরিপন্থী।
প্রসঙ্গত, ১৯৬১ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে সেনা স্কুলগুলি তৈরি হয়। মূলত ভারতীয় সেনাবাহিনীর আধিকারিকদের মধ্যে সম্প্রীতি এবং ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করাতে স্কুলগুলি গড়ে ওঠে। বিরোধীদের অভিযোগ, বর্তমান সেই লক্ষ্য থেকে দূরে সরে যাচ্ছে স্কুলগুলি। যার কারণ হচ্ছে আরএসএস এবং বিজেপি ঘনিষ্ঠ সংগঠনগুলি। বেছে বেছে এই সমস্ত সংগঠনগুলিই দায়িত্ব পেয়েছে সেনা স্কুল পরিচালনার।
জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের পিপিপি মডেল অনুযায়ী ৪০টি স্কুলের সাথে বেসরকারি সংস্থার সাথে চুক্তি করেছে সরকার। যার মধ্যে ১১টি স্কুল পরিচালনার দায়িত্ব পায় বিজেপির সাথে যোগ থাকা ব্যক্তি অথবা বিজেপি নেতারা। ৮টি স্কুল আরএসএস বা সংঘ পরিবারের কোনো সংগঠন দায়িত্ব পায়। এছাড়া ৬টি স্কুল পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন।
পুরো ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সিপিআইএম পলিটব্যুরো। বুধবার পলিটব্যুরোর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেনা স্কুলগুলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে থাকা স্বায়ত্তশাসিত সৈনিক স্কুল সোসাইটি দ্বারা পরিচালিত হয়। প্রিমিয়ার ন্যাশনাআল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি এবং ইন্ডিয়ান নেভাল অ্যাকাডেমিতে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেনা স্কুলগুলি। পরে এই স্কুল থেকে পাস করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উচ্চপদে নিয়োজিত হন।
পলিটব্যুরো আরও জানায়, বর্তমানে সেই সমস্ত স্কুল আর এস এস বা বিজেপি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। সিপিআইএম পলিটব্যুরো এর তীব্র নিন্দা জানায়। শিক্ষাক্ষেত্রকে যেভাবে সাম্প্রদায়িকতার আবরণে ঢেকে ফেলা হচ্ছে তা সমাজের জন্য খুবই ক্ষতিকর। আমাদের ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য বিরাট আঘাত। সেনা স্কুলগুলির জাতীয় ও ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র বজায় রাখতে সরকারকে এই পদক্ষেপ প্রত্যাহারের আবেদন জানাচ্ছে পলিটব্যুরো।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন