দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির পর এবার সিবিআই-র হাতে গ্রেফতার হলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত থেকেই আপ সুপ্রিমোকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পাশাপাশি কেজরিওয়ালকে দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে নয়া মামলা দায়েরের নির্দেশও দিল সুপ্রিম কোর্ট।
মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টে কেজরিওয়ালের জামিনের আর্জি খারিজ হওয়ার পর তিহার জেলে গিয়ে আপ নেতাকে জেরা করে সিবিআই। বুধবার তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আর্জি জানান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
সিবিআই-র আইনজীবী আদালতে জানান, আবগারি দুর্নীতিতে এখনও তদন্ত বাকি রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। তাই হেফাজতে নেওয়া দরকার। আপাতত ৫ দিনের হেফাজত চায় সিবিআই।
কেজরিওয়ালের আইনজীবী বিক্রম চৌধুরী বলেন, "এই মামলাটা ক্রমশ একজন সাধারণ নাগরিক বনাম ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রের লড়াইয়ে পরিণত হচ্ছে। ২০২২ সালে থেকে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। আগেও কেজরিওয়ালকে সাক্ষী হিসেবে জেরা করা হয়েছিল। তারপর থেকে সিবিআই একটাও নোটিশ দেয়নি। কোনও নোটিশ ছাড়াই একজন সাক্ষী কীভাবে অপরাধী হয়ে গেল? এটা গভীর চিন্তার বিষয়। কেন্দ্রীয় এজেন্সি পক্ষপাতমূলক কাজ করছে।"
সিবিআই-র আইনজীবী পাল্টা জানান, সমস্ত দাবি ভুয়ো। সিবিআই চাইলেই নির্বাচনের সময় জেরা করতে পারতো। কিন্তু তা করেনি। আর কেজরিওয়ালকে জেরার জন্য অনুমতি আগেই নেওয়া হয়েছিল।
অন্যদিকে সিবিআই কর্তৃক কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পরই বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলছে আপ। সোশ্যাল মিডিয়ায় আপ জানায়, 'শীর্ষ আদালতে যখন মনে হচ্ছিল অরবিন্দ কেজরিওয়াল জামিন পেতে পারেন ঠিক সেই সময় সিবিআই দিয়ে মিথ্যা অভিযোগে ফের তাঁকে গ্রেফতার করানো হল। বিজেপির প্রতিটি চক্রান্তের জবাব দেওয়া হবে। শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হবেই'।
অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্ট কেজরিওয়ালকে দিল্লি হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের স্থগিতাদেশ মামলাটি প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, আবগারি দুর্নীতি মামলায় আর্থিক তছরূপের অভিযোগে গত ২১ মার্চ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি। পরে লোকসভা ভোটের প্রচারের জন্য ১০ মে শর্তসাপেক্ষে কিছু দিনের জন্য তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছিল। এরপর ২ জুন ফের তিহার জেলে ফিরে যান তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন