ছ’মাস পর অবশেষে জেল থেকে মুক্ত হতে চলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ইডির পর এবার সিবিআইয়ের মামলাতেও জামিন পেলেন তিনি। শুক্রবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া এবং বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চ জামিন দিয়েছেন আপ সুপ্রিমোকে।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রথমে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কেজরিওয়াল। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন আপ প্রধান। গত ৫ সেপ্টেম্বর সেই মামলার শুনানি শেষ হয় বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া এবং বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চে। শুক্রবার সেই মামলায় কেজরিওয়ালকে জামিন দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
এর আগে গত ১২ জুলাই আবগারি দুর্নীতিতে ইডির মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছিলেন কেজরিওয়াল। কিন্তু সেই সময় জেল থেকে মুক্তি পাননি তিনি। কারণ সিবিআইয়ের মামলাটি ঝুলে ছিল। শুক্রবার দু’টি মামলাতেই জামিন পেয়ে অবশেষে জেল মুক্তি হবে তাঁর। আজই জেল থেকে ছাড়া পেতে পারেন তিনি।
শুক্রবার কেজরিওয়ালকে জামিন দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি উজ্জ্বল ভুইয়াঁ মন্তব্য করেন, ‘‘ইডির মামলায় কেজরীওয়াল যাতে জামিনে মুক্তি না পেয়ে যান, সেই কারণেই সম্ভবত সিবিআইও তাঁকে গ্রেফতার করেছিল।’’
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি। সেই গ্রেফতারি বেআইনি এমনই দাবি করে দিল্লি হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন কেজরিওয়াল। কিন্তু হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় এই গ্রেফতারি বেআইনি নয়। এরপর হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন আপ প্রধান।
এরপর ২৫ জুন তিহারে জিজ্ঞাসাবাদের পর রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের অনুমোদনে কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সিবিআই হেফাজতকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কেজরী রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আবেদন জানালেও তা খারিজ হয়ে যায়। তার পর দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সেখানেও খারিজ করে দেওয়া হয় তাঁর আবেদন। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কেজরিওয়াল।
প্রসঙ্গত, গত ১০ মে লোকসভা ভোটের প্রচারের কারণে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছিলেন তিনি। ২ জুন জামিনের মেয়াদ শেষ হলে আত্মসমর্পণ করেন কেজরিওয়াল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন