সম্প্রতি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে তিহার জেল প্রশাসন। সেই বিবৃতি দেখে হতাশা প্রকাশ করেছেন আপ প্রধান। কেজরিওয়াল দাবি করেন, তিনি একজন সুগারের রোগী এবং তাঁর রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেকটাই বেশি। সেই কারণে তিনি প্রতিদিন ইনসুলিনের দাবি জানিয়েছেন।
তিহার জেল সুপারিটেনডেন্টকে দেওয়া চিঠিতে কেজরিওয়াল জানান, তাঁর গ্লুকোজ মিটার রিডিং ২৫০ থেকে ৩২০ এর মধ্যে, যা ডাক্তারি পরিভাষায় "বিপজ্জনক" সীমা। তিনি অভিযোগ করেন, জেল প্রশাসন "রাজনৈতিক চাপের" কারণে তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে।
এর আগে এইমসের ডাক্তাররা কেজরিওয়ালের স্বাস্থ্য নিয়ে যে রিপোর্ট দিয়েছিলেন, সেটিও অস্বীকার করেছিলেন আপ প্রধান। ডাক্তারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, কেজরিওয়ালের কোনও গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা নেই।
গত ২০ এপ্রিল কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়ালের অনুরোধে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কেজরিওয়ালের সুগারের চেকআপ করে তিহার কর্তৃপক্ষ। সেই ভিডিও কনফারেন্সে কেজরিওয়াল বা ডাক্তার কেউই ইনসুলিন ইস্যুটিও তোলেনি বলেই জানিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, তিহার জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কেজরিওয়ালকে ইনসুলিন না দিয়ে "হত্যা করার ষড়যন্ত্র" করার অভিযোগ করেছে আম আদমি পার্টি। কেজরিওয়াল টাইপ-টু ডায়াবিটিক পেশেন্ট হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে ইনসুলিন নিতে দেওয়া হচ্ছে না বলে শুরু থেকে অভিযোগ তুলছে আপ শিবির। উল্টোদিকে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আদালতে অভিযোগ তুলেছিল, আম-মিষ্টি খেয়ে সুগার বাড়িয়ে মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে জামিন পাওয়ার চেষ্টা করছেন কেজরি।
কেজরিওয়াল এর উত্তরে জানিয়েছেন, তিনি জেলের মধ্যে মাত্র তিনদিন আম খেয়েছেন। এবং রামনবমীর দিন তিনি লুচি খেয়েছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন