দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডি হাজিরা এড়ালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। নির্বাচনী প্রচারে যোগ দেওয়ার কারণে তিনি হাজিরা দিতে পারবেন না বলেই জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার কেজরিওয়ালকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কিন্তু অরবিন্দ কেজরিওয়াল ইডিকে চিঠি লিখে ওই সমন প্রত্যাহারের দাবি জানান। তিনি লেখেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে তাঁকে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। বিজেপির নির্দেশে এই সব কাজ করছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। সমনের নোটিশ অবৈধ।
পাশাপাশি তিনি লেখেন, পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আছে। তাঁকে দলের প্রচারে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তিনি হাজিরা দিতে পারবেন না।
ইডিকে লেখা চিঠি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ইডি দপ্তরে হাজিরা দিলেন না কেজরিওয়াল।
আজ মধ্যপ্রদেশে আপের রাজনৈতিক কর্মসূচি আছে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মানের সাথে সেই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন কেজরিওয়াল। এছাড়া কেজরিওয়ালের সাথে থাকবেন একাধিক আপ হাইকমান্ড। শুধুই কি নির্বাচনী প্রচার নাকি গ্রেফতারির আশঙ্কায় হাজিরা দিলেন না তিনি? রাজনৈতিক মহলে এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার আপ নেত্রী অতিশী দাবি করেছিলেন কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হতে পারে। তিনি বলেছিলেন, “আমাদের কাছে খবর আছে, ২ নভেম্বর ইডির দফতরে কেজরিওয়াল হাজিরা দিতে গেলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে। রাজনৈতিক লড়াইয়ে আমাদের সঙ্গে পেরে উঠছে না বিজেপি। কেজরিওয়ালকে ভয় পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে মিথ্যা মামলায় নাম জড়িয়ে আমাদের নেতাদের গ্রেফতার করাচ্ছে বিজেপি।”
অন্যদিকে আজই দিল্লির শ্রমমন্ত্রী তথা আপ নেতা রজকুমার আনন্দের বাড়ি সহ মোট ৯টি ঠিকানায় সকাল থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। সেই কারণেই তল্লাশি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন