দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ১৫০ জন আইনজীবী। তাঁরা দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের কাছে ৯ পাতার চিঠিও দিয়েছেন।
আপ নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এখনও জেল থেকে ছাড়া পাননি। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত আপ নেতার জামিনের আর্জি মঞ্জুর করলেও দিল্লি হাইকোর্ট সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুধীর কুমার জৈনের বিচারপদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ওই ১৫০ জন আইনজীবী।
চিঠিতে আইনজীবীরা জানান, একটি মামলার রায়ের কপি আপলোড হওয়ার আগেই সেই বিষয়ে চ্যালেঞ্জ জানায় ইডি। বিচারপতি সুধীর কুমার জৈন কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে অনুমতিও দেন। পরের দিন মামলাটি শুনানির জন্য নথিভুক্তও করেন। একজন বিচারপতি কীভাবে এমন নির্দেশ দিতে পারেন? নিম্ন আদালতের আদেশ আপলোড হওয়ার মধ্যেই গোটা ঘটনা ঘটে যায়।’’
আইনজীবীরা লেখেন, ভারতের বিচারব্যবস্থার ইতিহাসে এই ধরণের কাজ আগে কোনও দিন হয়নি। ভারতীয় আইন নিয়ে যা উদ্বেগ তৈরি করেছে। এই দেশের জনগণ অনেক আশা ও আস্থা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়। এই আস্থাকে বিচার বিভাগ এবং আইনজীবী সম্প্রদায়ের দ্বারা অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। এই কারণেই এই চিঠি লেখা হয়েছে। আশা করি এই সমস্যাগুলি দ্রুত সংশোধন করা হবে।"
চিঠিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে জামিনের মামলাগুলিতে পরবর্তী শুনানির দিন অনেক পিছিয়ে দিচ্ছেন বিচারপতিরা। বিশেষ করে ইডি এবং সিবিআই যেসব মামলায় যুক্ত সেইসব মামলাগুলিতে এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এগুলি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী এবং সাংবিধানিক স্বাধীনতার বিরোধী।
উল্লেখ্য, আবগারি দুর্নীতি মামলায় আর্থিক তছরূপের অভিযোগে গত ২১ মার্চ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি। পরে লোকসভা ভোটের প্রচারের জন্য ১০ মে শর্তসাপেক্ষে কিছু দিনের জন্য তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছিল। এরপর ২ জুন ফের তিহার জেলে ফিরে যান তিনি। একাধিকবার জামিনের আবেদন আদালত জানালেও এখনও মুক্তি পাননি তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন