জামিন পাওয়ার পর দিল্লি হাইকোর্টে বড় ধাক্কা খেলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত জেল থেকে মুক্তি পাবেন না তিনি। এমনই জানিয়েছে উচ্চ আদালত। ইতিমধ্যেই দিল্লি হাইকোর্টে জরুরি ভিত্তিতে এই শুনানি শুরু হয়েছে। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট বার অ্যান্ড বেঞ্চ একথা জানিয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ১ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডের বিনিময়ে কেজরিওয়ালের জামিন মঞ্জুর করে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত। আদালতের এই রায়ের উপর ৪৮ ঘণ্টার স্থগিতাদেশ চেয়েছিল ইডি, যাতে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে তারা। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।
শুক্রবার সকালে তিহাড় জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল কেজরিওয়ালের। কিন্তু তার আগেই নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। বার অ্যান্ড বেঞ্চের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাইকোর্টের বিচারপতি সুধীর কুমার জৈন এবং রবিন্দর দুদেজার অবকাশকালীন বেঞ্চ নিম্ন আদালতের নির্দেশ কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে। বেঞ্চ জানিয়েছে, “দিল্লি হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ট্রায়াল কোর্টের (রাউজ অ্যাভিনিউ) কার্যক্রম শুরু হবে না।" দুপুর দেড়টা থেকে সেই শুনানি শুরু হয়েছে হাইকোর্টে।
দিল্লি হাইকোর্টে ইডির প্রতিনিধিত্বকারী অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল (এএসজি) এসভি রাজু জানান, নিম্ন আদালত কেন্দ্রীয় সংস্থাকে মামলা উপস্থাপনের ন্যায্য সুযোগ দেয়নি। তিনি বলেন, “আমাদের যুক্তি পেশ করার জন্য বা কোনও লিখিত তথ্য দাখিল করার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়নি। আমরা আদালতের নির্দেশ বিরোধিতা করারও ন্যায্য সুযোগ পাইনি।“
হাইকোর্টকে এই মামলার দীর্ঘ শুনানির আবেদন জানিয়েছেন এসভি রাজু।
উল্লেখ্য, আবগারি দুর্নীতি মামলায় আর্থিক তছরূপের অভিযোগে গত ২১ মার্চ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি। পরে লোকসভা ভোটের প্রচারের জন্য ১০ মে শর্তসাপেক্ষে কিছু দিনের জন্য তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছিল। এরপর ২ জুন ফের তিহাড় জেলে ফিরে যান তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন