হায়দ্রাবাদের রাস্তায় শুভেন্দুর ছবি, সঙ্গে KCR কন্যা কবিতা - কোন ইস্যুতে?

রাজ্যের রাজধানী হায়দরাবাদ সহ বিভিন্ন জায়গা একটি ব্যাঙ্গাত্মক পোস্টারে ছেয়ে গেছে। যার একদিকে রয়েছে, বিভিন্ন দল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতাদের ছবি, আর অন্যদিকে রয়েছে বিআরএস নেত্রী কবিতার ছবি।
হায়দ্রাবাদের রাস্তায় শুভেন্দুর ছবি, সঙ্গে KCR কন্যা কবিতা - কোন ইস্যুতে?
Published on

তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা তথা বিআরএস নেত্রী কবিতা কলবকুন্তলাকে দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। দিল্লির আবগারি নীতি মামলায় এই জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে বিজেপিকে একহাত নিয়েছে ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতি।

রাজ্যের রাজধানী হায়দরাবাদ সহ বিভিন্ন জায়গা একটি ব্যাঙ্গাত্মক পোস্টারে ছেয়ে গেছে। যার একদিকে রয়েছে, বিভিন্ন দল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতাদের ছবি, আর অন্যদিকে রয়েছে বিআরএস নেত্রী কবিতার ছবি। পোস্টারটি একটি জনপ্রিয় ডিটারজেন্টের বিজ্ঞাপনের আকারে বানানো হয়েছে। যেখানে ব্যাঙ্গ করে বোঝানো হয়েছে - যে নেতারা অন্যদল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে বহু দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও এখন তারা কোনও তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হচ্ছেন না।

তেলঙ্গনার শাসক দলের এই পোস্টারে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারির ছবিও, যিনি তিন বছর আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। দেশের শাসক দল বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থে সিবিআই, ইডি-কে ব্যবহার করছে, পোস্টারে সেই কথাটাই বিদ্রুপের আকারে তুলে ধরা হয়েছে।

২০২১ বিধানসভার আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারি। নারদা কাণ্ড, সারদা কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ালেও শুভেন্দুকে কখনো তলব করেনি ইডি বা সিবিআই। এই ইস্যু নিয়ে তেলঙ্গনার পোস্টারে বলা আছে, অন্য দল ছেড়ে বিজেপিতে গেলেই সব অভিযোগ ধুয়ে সাফ হয়ে যায়।

তবে, শুধু শুভেন্দু নয়, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, নারায়ণ রানে সহ কংগ্রেস বা বিরোধী দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া একাধিক নেতাদের নাম ও ছবি তুলে ধরা হয়েছে পোস্টারে।

এই নেতাদের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে কে কবিতার। যিনি কখনো রাজনৈতিক চাপের সামনে নতিস্বীকার করেননি বলে দাবি করা হয়েছে পোস্টারে। কবিতার ছবির পাশে লেখা আছে, আসল রঙ কোনওদিন ফিকে হয়ে যায় না।

গত বুধবার, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কবিতাকে চিঠি পাঠায় ইডি। চিঠিতে, ৯ মার্চ তাঁকে দিল্লি আসতে বলে ইডি।

বৃহস্পতিবার কবিতা জানান, ৯ তারিখ ইডির অফিসে যেতে পারবেন না তিনি। কারণ, ১০ মার্চ, মহিলা সংরক্ষণ বিলের দাবিতে যন্তর মন্তরে তিনি অনশনে বসবেন। তবে, ১১ মার্চ, ইডি অফিসে হাজিরা দিতে রাজি আছেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

এরপরেই কেন্দ্রকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘এই বছর তেলেঙ্গানায় নির্বাচন হওয়ার কথা। তাই, বিজেপির ‘মোডাস অপারেন্ডি’ (রাজনৈতিক অভিসন্ধি) হল 'মোদী সে পহেলে ইডি' (তেলেঙ্গানায় মোদী আসার আগে ইডি পাঠানো)’।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in