দেশ জুড়ে ৮১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮৮ জন অর্থনীতিবিদ অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক সব্যাসাচী দাসের পাশে দাঁড়ালেন। সম্প্রতি হরিয়ানার অশোকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সব্যসাচী দাসের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করে। যার জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ প্রথম প্রতিবাদ জানায় এবং অধ্যাপক সব্যসাচী দাসকে পুনর্বহালের দাবি তোলে।
সম্প্রতি ২০১৯ নির্বাচন সম্পর্কিত তাঁর গবেষণাপত্র ‘ডেমোক্রেটিক ব্যাকস্লাইডিং ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’স লারজেস্ট ডেমোক্রেসি’ নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। যেখানে অধ্যাপক দাস দাবি করেছিলেন, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে কারচুপি হয়েছিল। এই ঘটনার পর ইস্তফা দেন অধ্যাপক এবং বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করে।
অর্থনীতিবিদরা একটি যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “আমরা, ভারতে কর্মরত অর্থনীতিবিদরা, দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে একাডেমিক স্বাধীনতা হল একটি প্রাণবন্ত শিক্ষামূলক গবেষণার ভিত্তি এবং প্রত্যেকেরই অবশ্যই জ্ঞান অর্জনের, গবেষণার ফলাফল ভাগ করে নেওয়ার এবং সেন্সরশিপের ভয় ছাড়াই খোলামেলা আলোচনার অধিকার থাকার প্রয়োজন।"
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “আমরা অধ্যাপক সব্যসাচী দাসের পাশে আছি এবং অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দাবির প্রতি আমাদের সমর্থন জানাচ্ছি। আমরা অবিলম্বে অধ্যাপক দাসকে নিঃশর্তভাবে পুনর্বহাল করার জন্য অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নিং বডিকে অনুরোধ করছি।”
ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী অর্থনীতিবিদদের মধ্যে রয়েছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রী রাম কলেজ অফ কমার্স থেকে এ জে সি বোস, ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট (দিল্লি) থেকে অভিরূপ মুখোপাধ্যায়, জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্চনা প্রসাদ, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (বেঙ্গালুরু) থেকে অর্পিতা চ্যাটার্জি এবং কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেবলীনা চক্রবর্তী।
উল্লেখ্য যে এর আগে অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নিং বডিকে এক খোলা চিঠিতে জানায়, যেভাবে দ্রুততার সঙ্গে অধ্যাপক সব্যসাচী দাসের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি তাদের বিশ্বাস ভেঙে গেছে।
অর্থনীতি বিভাগ ওই চিঠিতে জানায়, “আমাদের সহকর্মী অধ্যাপক সব্যসাচী দাসের পদত্যাগের প্রস্তাব এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক তা দ্রুত গৃহীত হওয়ার ফলে আমরা অর্থনীতি বিভাগের অনুষদ, আমাদের সহকর্মী, আমাদের ছাত্র এবং অশোক বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র শুভানুধ্যায়ীদের বিশ্বাসকে গভীরভাবে ভেঙে দিয়েছে।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন