মুম্বইয়ের ধারাভি বস্তির পুনর্নির্মাণ দায়িত্ব পেল আদানি গোষ্ঠী। মধ্য মুম্বইয়ের ২৫৯ হেক্টর জমিতে অবস্থিত এশিয়ার বৃহত্তম বস্তিকে এবার ঢেলে সাজাতে চলেছে মহারাষ্ট্র সরকার। বর্তমানে বস্তির ঘিঞ্জি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ পাল্টে তৈরি করা হবে অত্যাধুনিক বহুতল, শপিং মল, পার্ক। বস্তির বর্তমান বাসিন্দারা ‘যোগ্যতার ভিত্তি’তে নয়া বহুতল আবাসনে থাকার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার।
গত বছরের নভেম্বর মাসে নিলামের মাধ্যমে এই প্রকল্পের বরাত পেয়েছিল শিল্পপতি গৌতম আদানি গোষ্ঠী পরিচালিত আদানি প্রপার্টিস। এই প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি অর্থ বিনিয়োগ করার দাবি জানিয়ে আদানি গোষ্ঠী ওই নিলামে পিছনে ফেলে দিয়েছিল তাঁদের দুই প্রতিপক্ষ ডিএলএফ ও নামান গোষ্ঠীকে। এবার শুক্রবার বিজেপি-শিন্ডেসেনার নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়ে দিল, ধারাভি বস্তির পুনর্নির্মাণের কাজ অবশেষে চলতি বছরেই শুরু করা হবে এবং সরকারিভাবে এই প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হল আদানি গোষ্ঠীকে।
কিন্তু চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাঁদের বাণিজ্যের অস্বাভাবিক উত্থানের পিছনে জালিয়াতি ও কারচুপি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল আমেরিকার লগ্নি সংক্রান্ত গবেষণাকারী সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। ওই সংস্থার দীর্ঘদিনের গবেষণার রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছিল, কারচুপি করে আদানি গোষ্ঠী শেয়ার বাজারে তাদের কোম্পানির দর বাড়িয়েছে। জানুয়ারি মাসে এই রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই শেয়ার বাজারে খুব একটা সুবিধার জায়গায় নেই আদানি গোষ্ঠী।
এদিকে, আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠার পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে কংগ্রেস। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের করা অভিযোগ খতিয়ে দেখে পুরো বিষয়টির তদন্ত করার জন্য কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধীরা একটি জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি গঠনের দাবি তুলেছে। কিন্তু এরপরেও শুক্রবার এনসিপির বিদ্রোহী নেতা অজিত পাওয়ার মহারাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার দিনই আদানি গোষ্ঠীকে সরকারিভাবে ধারাভি প্রকল্পের বরাত দিয়ে দেওয়াটা বিরোধী মহলের কাছে যথেষ্ট ‘অর্থপূর্ণ’ হয়ে উঠেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন