কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ অসমে সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলেছে চা-বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে। তাই তাঁদের টিকাকরণ কর্মসূচির আওতাভুক্ত করা একটা বড় দায়িত্ব ছিল প্রশাসনের। কিন্তু সেই দায়িত্ব পালন দূর, টিকাকরণ কর্মসূচি হয়েছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে রাজ্যজুড়ে।
অসমে মোট জনসংখ্যার ১৮ শতাংশই চা শ্রমিক। সরকারি তথ্য বলছে, মোট চা শ্রমিকের মাত্র ১ শতাংশ ভ্যাকসিনের দু'টো ডোজই পেয়েছেন। প্রায় ২.১৭ লক্ষ চা-বাগানের শ্রমিক ২৮ জুন পর্যন্ত ভ্যাকসিনের একটি মাত্র ডোজ পেয়েছেন। স্বল্প মজুরি, নিরক্ষরতা এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য কোভিড মহামারীতে এই শ্রমিকদের নিয়েই সবথেকে বেশি আশঙ্কা ছিল।
সরকারি তথ্য অনুসারে, ১ এপ্রিল থেকে ২৮ জুনের মধ্যে, চা- বাগানের প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে ১০৫ জন এই সংক্রমণে মারা যান। মৃতদের মধ্যে ৮১জন আপার অসম রিজিয়নের শ্রমিক।
অসমের শ্রমমন্ত্রী সঞ্জয় কিশান বলেছেন, রাজ্য সরকার নিয়মিতভাবে আরও বেশি পরিমাণে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করার জন্য কাজ করছে। চা বাগানের যে শ্রমিকরা কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁরা কেউ আইসোলেশনে থাকছেন না। যার ফলে দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তাই রাজ্য সরকার কোভিড কেয়ার সেন্টার তৈরি করেছে।
প্রসঙ্গত,অসমে ৮০০টি চা-বাগানের মধ্যে কোভিড আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে ৫১৭টিতে। কোভিডে সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে ডিব্রুগড় ও তিনসুকিয়া জেলায়। দু'জায়গাতেই মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী- এখনও পর্যন্ত ৭৪,৪৭,৮৯৩ টি ডোজ দেওয়া হয়েছে হয়েছে অসমে। প্রায় ১২.৭৫ লাখ মানুষ ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ পেয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন