প্রবল বন্যায় বিধ্বস্ত আসাম। ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে সে রাজ্যের দশটিরও বেশি জেলা। ভিটেমাটি ছাড়া হয়েছেন ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
পার্বত্য রাজ্যের বহু অংশেই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে উন্মত্ত ব্রহ্মপুত্র। রবিবার রাতভর বৃষ্টিতে অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। জলের তোড় ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে অসংখ্য ঘর-বাড়ি। জলের তলায় রয়েছে ১৪০টিরও বেশি গ্রাম। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ধুবরি, কামরুপ, কামরুপ মেট্রোপলিটন, নলবাড়ি, ডিমা হাসাও, কাছাড়, গোয়ালপাড়া এবং করিমগঞ্জ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে।
আসামের বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ, আসাম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এএসডিএমএ)-এর রিপোর্ট অনুযায়ী ডিব্রুগড়, লখিমপুর, দারাং, নগাঁও, তিনসুকিয়া, নলবাড়ি-সহ রাজ্যের প্রায় ১২টি জেলা মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে। যার মধ্যে লখিমপুরে সব থেকে বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, প্রায় ২৫ হাজার ২০০। এই তালিকায় তারপরেই আছে ডিব্রুগড় ও তিনসুকিয়া। সরকারি হিসেব অনুযায়ী যেখানে যথাক্রমে ৩ হাজার ৮০০ ও ২ হাজার ৭০০ জন মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
এএসডিএমএ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মুহূর্তে রাজ্যের প্রায় ১৪০টি গ্রাম-সহ ১৫০০ হেক্টর জমি জলের নিচে রয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে ধস নেমেছে দিমা হাসাও ও করিমগঞ্জে। এছাড়াও ডিব্রুগড়, শনিতপুর, গোয়ালপাড়া, ধেমাজি, বঙ্গাইগাঁও, নগাঁও, কামরুপ, কার্বি আংলং জেলাগুলিতে অতি ভারী বর্ষণের ফলে ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে জলস্তর, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তা, সেতুর মতো পরিকাঠামো। ইতিমধ্যেই সরকারের পক্ষ থেকে একটি ত্রান শিবির কেন্দ্র ও ৩টি জেলায় মোট ১৬টি ত্রান বিতরণ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সংকেত দিয়েছে গুয়াহাটি আবহাওয়া দফতর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন