আসাম-মেঘালয় সীমান্ত অঞ্চলে পশ্চিম জয়ন্তিয়া পাহাড়ের মুকরোহে তুমুল গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন আসাম বন দপ্তরের এক নিরাপত্তারক্ষীসহ ৬ জন। আর, এই ঘটনার পরে মেঘালয়ের সাতটি জেলায় ৪৮ ঘন্টার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছে মেঘালয় সরকার। এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে মেঘালয় সরকারের তরফে।
মেঘালয় সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'আজ সকাল ১০ টা ৩০ মিনিট থেকে মেঘালয়ের সাতটি জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট/ডেটা পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।'
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা (Conrad Sangma) এই সংঘর্ষের কথা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, সীমান্তে সংঘর্ষের জেরে মেঘালয়ের পাঁচজন এবং আসামের একজন বনরক্ষী সহ মোট ছয়জন নিহত হয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, 'আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। মেঘালয় পুলিশও একটি এফআইআর দায়ের করেছে।'
মেঘালয় সরকার বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'মেঘালয়ের পুলিশ সদর দফতরে একটি রিপোর্ট এসেছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, আসাম-মেঘালয় সীমান্ত পশ্চিম জয়ন্তিয়া পাহাড়ের মুকরোহে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। জনসাধারণের শান্তি নষ্ট করার সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিম জয়ন্তিয়া পাহাড়, পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড়, পূর্ব খাসি পাহাড়, রি-ভোই, পূর্ব পশ্চিম খাসি পাহাড়, পশ্চিম খাসি পাহাড় এবং দক্ষিণ পশ্চিম খাসি পাহাড়ে জন নিরাপত্তার জন্য হুমকির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর ফলে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গ হতে পারে।'
মেঘালয়ের স্বরাষ্ট্র (পুলিশ) দফতরের সচিব সিভিডি দিয়েংদোহ (CVD Diengdoh) জানিয়েছেন, 'মেঘালয়ে মিডিয়ার (হোয়াটসঅ্যাপ এবং সোশ্যাল মিডিয়া হিসাবে ফেসবুক টুইটার, ইউটিউব ইত্যাদির) অপব্যবহার রুখতে এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এই বিজ্ঞপ্তি কার্যকর করা হয়েছে।'
'মেঘালয়ের পশ্চিম জয়ন্তিয়া পাহাড়, পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড়, পূর্ব খাসি পাহাড়, রি-ভোই, পূর্ব পশ্চিম খাসি পাহাড়, পশ্চিম খাসি পাহাড় এবং দক্ষিণ পশ্চিম খাসি পাহাড় জেলা জুড়ে মোবাইল এবং সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ থাকবে।'
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'আদেশ লঙ্ঘনকারীদের ভারতীয় দণ্ডবিধি (IPC)-র ১৮৮ ধারা এবং ১৮৮৫ সালের ভারতীয় টেলিগ্রাফ আইনের আওতায় শাস্তি দেওয়া হবে।'
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন