আজব কান্ড আসামে। যে বুথের ভোট সংখ্যা মাত্র ৯০ জন, সেখানে ভোট পড়ল ১৭১টি। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল শুরু হয়েছে। বিরোধীরা কমিশনের দিকে আঙুল তুলছে। বিজেপিকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন প্রথম থেকে পক্ষপাতিত্ব করছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করছে।
ঘটনাটি ঘটেছে আসামের হাফলং বিধানসভা কেন্দ্রে। গত ১লা এপ্রিল এই কেন্দ্রে ভোট হয়। এই হাফলং বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত খোটলির একটি বুথে মোট ভোটার সংখ্যা ৯০ জন। কিন্তু ভোটকর্মীদের দাবি স্থানীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনের তালিকা অনুযায়ী ভোট করতে দেননি তাঁদের। প্রধানের তালিকা অনুযায়ী ভোট নিতে তাঁদের বাধ্য করা হয়। বিরোধীরা স্বাভাবিকভাবেই ওই বুথে যথেষ্ট নিরাপত্তা ছিল না বলে অভিযোগ তুলছে। শুধু কী একটা বুথেই এমন গরমিল নাকি আরও অনেক বুথে এমন হয়েছে যা জানতে পারা যায়নি – সেই প্রশ্নও উঠছে।
ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন ওই বুথের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার সহ আরও চার জন পোলিং অফিসারকে সাসপেন্ড করেছে। ওই বুথে আবার ভোট হবে বলে ঘোষণা করেছে কমিশন। যদিও কমিশনের ভূমিকায় খুশি নয় বিরোধীরা। তারা বরাবরই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করছে।
কিছুদিন আগেই বিজেপির এক প্রার্থীর গাড়ি থেকে ইভিএম মেশিন উদ্ধার হয়। সেই নিয়ে আসাম জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। এমনকি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মহাজোট ভোট বয়কটেরও হুমকি দিয়েছিল। সম্প্রতি আবার আসামের করিমগঞ্জেও এক গাড়িতে ইভিএম পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ। ইভিএম উদ্ধারের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে আপাতত ভাইরাল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন