নির্বাচন কমিশন বিজেপির নির্দেশ মতো চলছে। প্রায় এই সুরেই অভিযোগ জানালেন সীতারাম ইয়েচুরি। রবিবার অসমে দলের রাজ্য দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচন শুরু হওয়ার পর শাসকদল নানাভাবে বিধিভঙ্গ করেছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত কোনও ব্যবস্থাই কমিশন নেয়নি। বরং এমন পদক্ষেপ করেছে, যা গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকর।
বৈঠকে ইয়েচুরি কয়েকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন। নির্বাচন চলাকালীন বিরোধীদলের নেতাকে মন্ত্রীর কথামতো এনআইএ হুমকি দিচ্ছে। ওই মন্ত্রী প্রার্থীও। কমিশনে বলা আছে, এধরনের ঘটনা ঘটলে তার প্রার্থীপদ বাতিল করা হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে তা হয়নি। অভিযোগ জানানোর পর ৪৮ ঘণ্টা প্রচার বন্ধ করার নির্দেশ জারি হলেও পরে তা ২৪ ঘণ্টা করে দেওয়া হয়। এছাড়াও রাজ্যের মন্ত্রী পীযুষ হাজারিকা দুই সাংবাদিককে প্রাণে মারার হুমকি দেন। তিনিও এবারের নির্বাচনে প্রার্থী। সেই হুমকি সবাই শুনেছেন। তাঁর বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কমিশনের নির্দেশে বলা হয়েছে, সাংবাদিকরা যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন। তাছাড়া মৃত্যুদণ্ডের হুমকি দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু এই মন্ত্রী-প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন। উপরন্তু সাংবাদিকরা আতঙ্কে কাজ করছেন।
সিপিআইএম অসম রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে প্রসার ভারতীকে থেকে যে বয়ান দেওয়া হয়েছিল, তাতে সরকারের সমালোচনার অংশ বাদ দেওয়া হয়। এতে রাজনৈতিক দলের স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। প্রসার ভারতীতে বক্তব্য রাখা বয়কট করে পার্টি ও কমিশনের কাছে নালিশ জানানো হয়। সংবিধানের ৩২৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী কমিশন যে ক্ষমতা পেয়েছে, তার সঠিক ব্যবহার না হলে সংবিধানের জন্য বিপদ বলে আশঙ্কা করেছেন ইয়েচুরি।
অন্যদিকে অসমে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ইয়েচুরি বলেন, বিজেপি একদিকে অসম চুক্তি করার কথা বলছে, অন্যদিকে সিএএ লাগু করার কথাও বলছে। তবে এবারের নির্বাচন নিয়ে তিনি আশাবাদী। ইয়েচুরি বলেন, প্রথম দুই দফার নির্বাচন থেকে অনুমান, তারপর মহাজোটই ক্ষমতায় আসছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন