পাঁচটি রাজ্য নির্বাচনের ঘোষণার পর, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন যে, এই পাঁচটি রাজ্যের নির্বাচনগুলি ঘৃণা-বিদ্বেষকে পরাস্ত করার সঠিক সুযোগ। সোমবার হিন্দিতে একটি টুইটে রাহুল গান্ধী বলেন, “নফরাত কো হারানে কা সহি মওকা হ্যায়।” (বিদ্বেষকে পরাজিত করার এটাই সঠিক সুযোগ)।
শনিবার যে পাঁচটি রাজ্যের নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে, তারমধ্যে বিজেপি চারটি রাজ্যে ক্ষমতায় আছে এবং কেবলমাত্র পাঞ্জাবে কংগ্রেসের সরকার রয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক প্রচারের অভিযোগ এনে কংগ্রেস দাবি করেছে, “যথেষ্ট হয়েছে। বিজেপির ঘৃণার কারখানাকে পরিষ্কার করার সুযোগ এসেছে পুরো জাতির কাছে। তারা আমাদের সমাজকে যে পরিমাণ ক্ষতি করেছে এবারে তা বন্ধ হওয়া দরকার। অন্যথায়, আমরা তা করব।”
কংগ্রেস একটি সিরিজ ট্যুইট করে তোপ দেগেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। তাঁদের কথায় – “লিঙ্গ, ধর্ম, অঞ্চল, পেশা, শারীরিক বৈশিষ্ট্য ইত্যাদির ভিত্তিতে ‘বিজেপির ঘৃণার কারখানা’ মানুষকে প্রতিনিয়ত আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করে চলেছে। শুধুমাত্র গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে না, শুধুমাত্র মর্যাদা লঙ্ঘন করে না, তারা সম্পূর্ণরূপে আমাদের সাংবিধানিক নৈতিকতা লঙ্ঘন করে ।”
প্রসঙ্গত, পাঁচ রাজ্যে (উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, গোয়া, উত্তরাখণ্ড এবং মণিপুর) বিধানসভা ভোটের তারিখ ইতিমধ্যেই ঘোষণা করছে নির্বাচন কমিশন। তিনরাজ্যে একদফায় নির্বাচন সম্পন্ন হবে। উত্তরপ্রদেশে ভোট হবে সাত দফায়। মণিপুরে দুই দফায় ভোট হবে। সব রাজ্যে ফল ঘোষণা ১০ মার্চ।
উত্তরপ্রদেশে সাত দফায় নির্বাচন হবে - প্রথম দফা ১০ ফেব্রুয়ারি, দ্বিতীয় দফা ১৪ ফেব্রুয়ারি, তৃতীয় দফা ২০ ফেব্রুয়ারি, চতুর্থ দফা ২৩ ফেব্রুয়ারি, পঞ্চম দফা ২৭ ফেব্রুয়ারি, ষষ্ঠ দফা ৩ মার্চ, সপ্তম তথা শেষ দফা ৭ মার্চ।
পাঞ্জাব, গোয়া এবং উত্তরাখণ্ডে এক দফায় ভোট হবে - ১৪ ফেব্রুয়ারি।
মণিপুরে দুই দফায় ভোট হবে। প্রথম দফা ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় দফা ৩ মার্চ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন