শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, ইডির হাতে উদ্ধার হওয়া টাকা, গয়না ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১১ কোটি টাকা।
ইডি সূত্রে খবর, এই বিশাল সম্পদের মধ্যে রয়েছে - ধৃত অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া ৩৩ কোটি টাকা, গহনা ও একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। যিনি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। বর্তমানে দুজনই বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি, চার্জশিটে ইডি দাবি করে, ‘গত ৪ অগাস্ট ইডিকে অর্পিতা জানিয়েছেন, গত ২৩ ও ২৭ জুলাই তাঁর টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে যে টাকা ও গয়না উদ্ধার হয়েছে তা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। নিজের ও মায়ের নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রথমে একথা বলতে পারেননি তিনি।‘
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সমান্তরালভাবে তদন্ত চালাচ্ছে, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (CBI) এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। তবে, টাকা ও গহনা উদ্ধার এবং তা বাজেয়াপ্তের ক্ষেত্রে, CBI-র থেকে অনেক এগিয়ে আছে ED।
কিন্তু হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর থেকে কোটি কোটি টাকা তুলতেন কারা? সিবিআই জানিয়েছে, এই চক্রে রাজ্য জুড়ে অন্তত ২১ জন এজেন্ট আছে, যারা চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলেছেন।
এজেন্ট হিসেবে কাদের দেখা হচ্ছে? বাগদার 'সৎ রঞ্জন' ওরফে চন্দন মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল, নীলাদ্রি ঘোষ, শাহিদ ইমামের মতো যাঁরা বিভিন্ন স্তরে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখতেন এবং টাকা নিতেন - এদেরই ধরা হচ্ছে এই তালিকায়।
সূত্রের খবর, বর্তমানে এই এজেন্ট নেটওয়ার্কের উপর নজর রয়েছে সিবিআই ও ইডির। কারণ, এই এজেন্টরাই হলেন নিয়োগ দুর্নীতির মূল চক্রী। সরকারী স্কুলে শিক্ষকতা ও শিক্ষাকর্মীর চাকরী বিক্রি করে, বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছে এঁরা। আবার, তাঁদেরও আলাদা আলাদা সাব এজেন্ট ও নেটওয়ার্ক আছে।
সিবিআই সূত্রে খবর, সাব-এজেন্টদের কাজ ছিল চাকরির জন্য অর্থ দিতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের চিহ্নিত করা, তাদের সাথে যোগাযোগ করা এবং সেই অনুযায়ী এগিয়ে যাওয়া। তাদের নিশানায় ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বেসরকারী বি.এড (B.Ed) কলেজ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন