ক্রীড়াবিদ ও প্রশিক্ষকদের সুবিধার্থে দিল্লির ত্যাগরাজ স্টেডিয়াম রাত ১০টা পর্যন্ত খুলে রাখার আদেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কিন্তু আদেশ দিলেও সন্ধ্যে ৭টা বাজলেই মাঠ ছাড়তে হচ্ছে খেলোয়াড়দের। কারণ দিল্লির প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি(রাজস্ব) সঞ্জীব খিরওয়ার সন্ধ্যে ৭টার পরে তাঁর পোষ্য কুকুরকে নিয়ে স্টেডিয়ামে হাঁটতে যান। আমলা মাঠে প্রবেশের আগেই মাঠ ছেড়ে চলে যেতে হয় খেলোয়াড়দের। এমনটাই অভিযোগ খেলোয়াড় এবং প্রশিক্ষকদের।
সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই দিল্লি সরকার পরিচালিত ত্যাগরাজ স্টেডিয়ামের ক্রীড়াবিদ এবং প্রশিক্ষকদের রুটিন সময়ের আগেই প্রশিক্ষণ শেষ করে মাঠ ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে। এক সংবাদসংস্থাকে অনুশীলনকারী এক ক্রীড়াবিদ জানিয়েছেন, আগে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত স্টেডিয়ামের আলোর নীচে প্রশিক্ষণ হত। কিন্তু এখন, সন্ধ্যে ৭টার মধ্যে মাঠ ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে তাঁদের যাতে অফিসার তাঁর কুকুরটিকে মাঠে নিয়ে হাঁটতে পারেন। তাই প্রশিক্ষণ এবং অনুশীলনের রুটিন ব্যাহত হচ্ছে আমাদের।
সংবাদমাধ্যমে এই খবর দেখানোর পর নড়েচড়ে বসেছে দিল্লি সরকার। উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া ট্যুইট করে জানিয়েছেন, "সংবাদ মাধ্যম মারফত আমরা জানতে পেরেছি আই.পি.এস সঞ্জীব খিরওয়ার মাঠে কুকুর নিয়ে হাঁটতে যান তাই স্টেডিয়ামের নির্দিষ্ট ক্রীড়া প্রশিক্ষণের সুবিধাগুলি তাড়াতাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে রাত অবধি খেলতে ইচ্ছুক খেলোয়াড়দের অসুবিধা হচ্ছে৷ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল নির্দেশ দিয়েছেন, দিল্লি ত্যাগরাজ স্টেডিয়াম ক্রীড়াবিদদের জন্য রাত ১০টা পর্যন্তই খোলা থাকবে।"
এই ঘটনার কেন্দ্র থাকা আই.পি.এস সঞ্জীব খিরওয়ার যদিও এই অভিযোগটিকে সম্পূর্ণ ভুল বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন তিনি কখনও কখনও তাঁর পোষা কুকুরকে নিয়ে হাঁটার জন্য স্টেডিয়ামে যান, তবে তা খেলোয়াড়দের কোনোভাবেই ব্যাহত করে না।
স্টেডিয়ামের দায়িত্বে থাকা অনিল চৌধুরিও একই দাবি করেছেন। আই.এ.এস অফিসারের সুবিধার্থে খেলোয়াড়দের তাড়াতাড়ি মাঠ ছাড়ার অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, খেলোয়াড়দের সন্ধ্যে ৭টা পর্যন্তই প্রশিক্ষণ করার নিয়ম আছে। এরপর, খেলোয়াড় ও প্রশিক্ষকরা নিজেরাই চলে যান। কেউ তাঁদের যেতে বলেন না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন