দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করলেন অতিশী মারলেনা। শনিবার বিকাল সাড়ে চারটে নাগাদ দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনার সরকারি বাসভবন রাজ নিবাসে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন অতিশী। এদিনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
অতিশীর সাথেই আরও পাঁচ বিধায়ক নয়া মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন এদিন। সুলতানপুর মাজরা থেকে প্রথমবার বিধায়ক হওয়া মুকেশ অহলাওত অতীশির মন্ত্রিসভায় নয়া মুখ। এছাড়া বাকি চারজন হলেন - সৌরভ ভরদ্বাজ, গোপাল রাই, কৈলাস গেহলট এবং ইমরান হুসেন।
শপথ গ্রহণের পর অতিশী সাংবাদিক বৈঠকে জানান, "এটি আমার জন্য একটি আবেগপূর্ণ মুহূর্ত কারণ উনি (অরবিন্দ কেজরিওয়াল) মুখ্যমন্ত্রী হবেন না। উনি প্রতিটি মানুষের কষ্ট বুঝতেন। মানুষের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা নিশ্চিত করেছেন, সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের জীবন উন্নত করার জন্য কাজ করেছেন, মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে বাসের ব্যবস্থা করেছেন।"
এরপরেই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে নতুন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি আপনাদের আশ্বাস দিচ্ছি, কেজরিওয়াল এখন জেল থেকে বেরিয়ে এসেছেন। আমরা বিজেপির কোনও ষড়যন্ত্র সফল হতে দেব না।"
অতিশী মারলেনা দিল্লির তৃতীয় মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন। এর আগে বিজেপির সুষমা স্বরাজ এবং কংগ্রেসের শীলা দীক্ষিত রাজধানীর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
অন্যদিকে, আগামী ২৬ এবং ২৭ সেপ্টেম্বর দিল্লি বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন বসতে চলেছে। সেই অধিবেশনে অতিশী মারলেনাকে তাঁর সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। দিল্লি বিধানসভায় সদস্য সংখ্যা ৭০।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার আবগারি দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ঘোষণা করেন, “দু’দিন পরে আমি মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেব। যত দিন না জনতা জনার্দনের রায় পাচ্ছি, তত দিন আমি এই আসনে আর ফিরব না।” সেই মতো মঙ্গলবার রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দেন কেজরিওয়াল। এবং ওইদিনই দলীয় বৈঠকের পর দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অতিশীর নাম ঘোষণা করেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন