কলকাতায় এসে সমস্ত তীর্থযাত্রীদের উদ্দেশ্যে প্রকৃতিকে ভালোবাসার বার্তা দিলেন যোশীমঠ বাঁচাও সংঘর্ষ সমিতির আহ্বায়ক অতুল সতী। পাশাপাশি পরিবেশ বিরোধী বিভিন্ন প্রকল্পেরও সমালোচনা করতে শোনা যায় তাঁকে।
উত্তরাখণ্ডের যোশীমঠের অবস্থা এই মুহূর্তে ঠিক কী, তা কমবেশী সকলেই জানেন। ভারতের অন্য কোনও পাহাড়ি অঞ্চল যাতে আর ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, মানুষের মধ্যে যাতে সচেতনতা আরও বৃদ্ধি পায় এবং সকলকে পাশে পাওয়ার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে চলেছেন অতুল সতী। এই উদ্দেশ্যে রবিবার কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
সেখানেই তিনি বলেন, 'অনেকেই কেদারনাথ, বদ্রীনাথে তীর্থ করতে যান। তীর্থ মানে এটা না যে কেবল নিজের ভগবানের দর্শন করলাম আর চলে আসলাম। তীর্থ মানে ওই অঞ্চলের গাছ, পাহাড়, নদী সমস্ত কিছুকেই ভালোবাসা। এখন তো কেদারনাথেও বিশাল কষ্ট করে মন্দিরের মধ্যে ঢুকতে হয়'।
তিনি আরও বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে অগ্রাহ্য করেই পাহাড় কেটে রাস্তা চওড়া করা হচ্ছে। রেললাইনের জন্যও অনেক গাছ কাটা পড়ছে। বদলে যাচ্ছে নদীর গতিপথ। বিভিন্ন টানেল তৈরির জন্য বিস্ফোরণ করা হচ্ছে। বিরাট কম্পনে ভূমি ধস বাড়ছে, যা হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের জন্য খুবই চিন্তার বিষয়। আমাদের মনে রাখতে হবে হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল ভারতের অন্যতম প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য।'
যোশীমঠ বিপর্যয়ের পিছনে রাজনৈতিক কারণও আছেন বলে মত অতুল সতীর। তিনি বলেন, "সরকারের কিছু প্রকল্পও যোশীমঠ বিপর্যয়ের জন্য দায়ী। বিস্তারিত পরীক্ষা বা গবেষণা না করেই বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে গিয়েই যোশীমঠের মাটি আলাগা হয়ে গেছে। জলবিদ্যুৎ প্রকল্প অবশ্যই হোক। কিন্তু সেটা যদি পরিবেশের ক্ষতি করে তাহলে মানুষ বিরোধিতা করবেই। এত বড় প্রকল্প না নিয়ে ছোটো ছোটো প্রকল্প নিলে মাটিও আলগা হতো না আর যোশীমঠের বাসিন্দারাও গৃহহীন হতেন না।"
অতুল সতী আরও বলেন, "যোশীমঠের সমস্ত মানুষ আমার সাথে লড়াইয়ে যুক্ত হয়েছেন। এর আগে ২০২১ সালে যোশীমঠে বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল। সেই সময় বেশকিছু আসন হেরে যায় বিজেপি। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। সাধারণ মানুষের ক্ষোভ গিয়ে ভোট বাক্সেই পড়বে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন