‘বিধায়ক কেনাবেচা’ কান্ডে নয়া মোড় তেলেঙ্গানায় (Telangana)। শুক্রবার, এই কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্তের সঙ্গে টেলিফোনিক কথাবার্তার একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছেন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (TRS)-র বিধায়ক পাইলট রোহিত রেড্ডি (Pilot Rohit Reddy)।
যে অডিও ক্লিপে- রামচন্দ্র ভারতী ওরফে সতীশ শর্মা ওরফে স্বামীজি’র সঙ্গে রোহিত রেড্ডির কথাপোকথন রয়েছে। যেখানে এই চক্রের মূল মাথা হিসাবে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ (B. L. Santhosh)-এর নাম উঠে এসেছে। এছাড়া, অডিও ক্লিপে 'সেকন্ড ম্যান'-এর কথা শোনা গেছে।
আগামী ২ নভেম্বর, তেলেঙ্গানায় মুনুগোড়ে বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তার আগে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দলের মধ্যে দ্বন্ধ তীব্র আকার নিয়েছে। সরকার ফেলার অভিযোগ এবং পালটা অভিযোগ নিয়ে রাজ্য রাজনীতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
কথোপকথনে আর এক অভিযুক্ত নন্দ কুমার ওরফে নান্দু-র কথাও উঠে এসেছে। জানা যায়, গত বুধবার, হায়দরাবাদের কাছে একটি খামারবাড়িতে তিনি চারজন TRS বিধায়কের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন।
কেন্দ্র থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেওয়া হবে বলে রোহিত রেড্ডিকে আশ্বাস দিয়েছিলেন স্বামীজি। তিনি (স্বামীজি) বলেন, 'আপনার যত্ন নেওয়া আমাদের দায়িত্ব। আপনি যখন আমাদের স্ক্যানারের অধীনে থাকবেন, তখন ইডি থেকে আয়কর - কোনও কিছু নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না। আমাদের ভাল অভিজ্ঞতা আছে বাংলায়।'
গতকালই, বিধায়ক রোহিত রেড্ডি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, বিজেপি'কে সমর্থন করতে তাঁকে ১০০ কোটি টাকার টোপ দেওয়া হয়েছে।
তিনি এই মর্মে ১৯৮৮ সালের দুর্নীতি বিরোধী আইনে দিল্লির বাসিন্দা রামচন্দ্র ভারতী ওরফে সতীশ শর্মা, তিরুপতির ধর্মীয়গুরু সিমহায়াজি স্বামী এবং তাঁর শিষ্য নন্দ কুমারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন।
এরপর, বুধবার সন্ধ্যায় হায়দরাবাদে আজিজ নগরে একটি খামার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতরা সকলেই বিজেপি’র ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেছে TRS।
যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন, মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন