গত ২২ জানুয়ারী উদ্বোধন হয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দির। উদ্বোধনের পরেরদিন থেকে সকলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে রাম মন্দির। জানা গেছে, উদ্বোধনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত রাম লালার দর্শনের জন্য ২৫ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়েছে। দর্শনের পাশাপাশি অনুদানের সংখ্যাটাও অনেক।
জানা গেছে, গত ১১ দিনে ১১ কোটিরও বেশি টাকা অনুদান পেয়েছে রাম মন্দির। যার মধ্যে ৮ কোটি টাকা অনুদান বাক্সে পড়েছে। এবং বাকি সাড়ে ৩ কোটি টাকা চেক এবং অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে দান করা হয়েছে। এদিন সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এমনই জানান মন্দির ট্রাস্টের অফিস ইনচার্জ প্রকাশ গুপ্তা।
মন্দিরের গর্ভগৃহ, নতুন বালক রাম মূর্তি এবং রাম লালা মূর্তির আবাসস্থলে চারটি অনুদান বাক্স রয়েছে। এগুলি 'দর্শন পথ' বরাবর স্থাপন করা হয়েছে যেখানে ভক্তরা গর্ভগৃহের সামনে দেবতার কাছে প্রার্থনা করতে হেঁটে যায়।
এছাড়া ডিজিটাল অনুদানের জন্য ১০ টি কম্পিউটারাইজড কাউন্টার স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে, ভক্তরা চেক এবং অন্যান্য অনলাইন পেমেন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে অনুদান করতে পারবেন।
সন্ধ্যায় বন্ধ হয় এই কাউন্টারগুলি। তারপর মন্দিরের ১৪ জন, ব্যাঙ্কের ১১ জন ও কর্মী ট্রাস্টের ৩ জন মিলে অনুদানগুলি গোনেন। আর এই পুরো প্রক্রিয়াটি চলে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায়।
উত্তর ভারতে প্রচণ্ড ঠান্ডা কমলে অযোধ্যায় আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও ভক্তদের রাম মন্দিরে পৌছাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সোমবার শ্রী রাম জন্মভূমি কমপ্লেক্স কন্ট্রোল রুমে রাজ্য ও জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে একটি বৈঠক করেন, যাতে মন্দিরে পৌঁছানো ভক্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
তিনি জানান, "আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি এবং ঠান্ডা হ্রাসের সাথে, আমরা অযোধ্যায় পর্যটক এবং রাম ভক্তদের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছি। সমস্ত ভক্তদের জন্য রাম লালার দর্শনের সুবিধার্থে আমাদের অবশ্যই বিশেষ যত্ন নিতে হবে।"
অন্যদিকে, গতকাল বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া অযোধ্যাকে সারা দেশজুড়ে আরও আটটি শহরের সাথে সংযোগকারী বিরতিহীন বিমান পরিষেবার উদ্বোধন করেন। স্পাইজেট এয়ারলাইন্স দারভাঙ্গা, আহমেদাবাদ, চেন্নাই, জয়পুর, পাটনা, দিল্লি, মুম্বাই এবং বেঙ্গালুরু থেকে অযোধ্যার সরাসরি বিমান ঘোষণা করেছে।
গত ২২ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তারকা এবং ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে উদ্বোধন হয় রামমন্দিরের। রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও মন্দিরের প্রথম ধাপটি ৭০ একর কমপ্লেক্সের ভিতরে নির্মিত হয়েছে, দ্বিতীয় ধাপটি ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন