Maharashtra: অজিতের NCP-তে যোগ দিলেন কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত বাবা সিদ্দিকির ছেলে, লড়বেন নির্বাচনেও

People's Reporter: জিশান বলেন, আমার ও আমার পরিবারের কাছে এই দিনটা আবেগের। কঠিন সময়ে আমার পাশে থাকার জন্য অজিত পাওয়ার, প্রফুল প্যাটেলদের ধন্যবাদ জানাই।
এনসিপিতে যোগ জিশান সিদ্দিকির
এনসিপিতে যোগ জিশান সিদ্দিকিরছবি - জিশান সিদ্দিকির ফেসবুক ওয়াল
Published on

মহারাষ্ট্র নির্বাচনের আগে অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীর এনসিপিতে যোগ দিলেন বান্দ্রা (পূর্ব)-র বিধায়ক জিশান সিদ্দিকি, যিনি সদ্য নিহত বাবা সিদ্দিকির ছেলে। নিজের পুরনো কেন্দ্র থেকেই এবার এনসিপি-র টিকিটে নির্বাচনে লড়বেন জিশান বলে জানিয়েছেন তিনি।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাবা সিদ্দিকি কংগ্রেস ছেড়ে এনসিপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বাবা সিদ্দিকি ছিলেন অজিত পাওয়ার ঘনিষ্ঠ। পুত্র জিশান সিদ্দিকি কংগ্রেস না ছাড়লেও গত আগস্ট মাসে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। নির্বাচনের আগে এবার প্রকাশ্যে অজিত পাওয়ারের হাত ধরলেন তিনি। শুক্রবার সকালে তিনি এনসিপিতে যোগ দিলেন। বান্দ্রা (পূর্ব) থেকেই এনসিপির টিকিটে লড়বেন তিনি।

এনসিপিতে যোগদানের পর জিশান বলেন, 'আমার ও আমার পরিবারের কাছে এই দিনটা আবেগের। কঠিন সময়ে আমার পাশে থাকার জন্য অজিত পাওয়ার, প্রফুল প্যাটেলদের ধন্যবাদ জানাই। আমার পুরনো সঙ্গীরা যখন আমার সাথে প্রতারণা করতে চেয়েছে তখন এনসিপি আমাকে বিশ্বাস করেছে।'

তিনি আরও বলেন, ‘বান্দ্রা (পূর্ব) থেকে নির্বাচনে লড়ব। আশা করি গতবারের মতো এবারও মানুষের ভালোবাসা পাব। এমভিএ (বিরোধী জোট) তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। আর বান্দ্রা (পূর্ব) আসনটি কংগ্রেসের বদলে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনাকে দেওয়া হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’।

বান্দ্রা (পূর্ব) কেন্দ্রে জিশান সিদ্দিকির মূল প্রতিপক্ষ বরুণ সরদেশাই। তিনি শিবসেনার (ঠাকরে) ছাত্র শাখার অন্যতম মুখ। ২০১৯ সালে এই আসন থেকেই কংগ্রেসের টিকিটে প্রথমবার লড়াইয়ে নেমেই জয়ী হয়েছিলেন জিশান সিদ্দিকি। কিন্তু চলতি বছর আগস্ট মাসে বিধানসভা কাউন্সিলের নির্বাচনে ক্রস ভোটিং-র অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। যার তীব্র নিন্দা করেছিলেন বাবা সিদ্দিকি। 

প্রসঙ্গত, দশমীর রাতে নিজের দপ্তরের সামনে বাজি ফাটাচ্ছিলেন এনসিপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের দাপুটে রাজনীতিবিদ বাবা সিদ্দিকি। সেই সময়ই দুষ্কৃতিদের গুলিতে নিহত হন তিনি। একটি গুলি তাঁর পেটে, একটি বুকে ও একটি পায়ে লাগে। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তিন জন আততায়ী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে দু’জন ধরা পড়েছেন। পরে এই ঘটনার দায় স্বীকার করে বিষ্ণোই গ্যাং।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in