হরিয়ানার বিজেপি সরকার ১৭ টি জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে। হরিয়ানার ঝিন্দ প্রদেশে যেভাবে কৃষক বিক্ষোভ ক্রমশ দানা বাঁধছে তাতে হরিয়ানা প্রশাসনকে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইন্টারনেটের উপর নিষেধাজ্ঞা আরও একদিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারের দাবি রাজ্যে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে ইন্টারনেট বন্ধ রাখাটা জরুরি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন কৃষকরা। তাঁদের আশঙ্কা উত্তরপ্রদেশের গাজীপুরের মতো হরিয়ানাতেও সরকার কৃষকদের জোর করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে। তাই তাঁরা এক অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মন্দিরের লাউড স্পিকারকে তাঁরা যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করবেন। সরকার কৃষকদের জোর করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেই মন্দিরের লাউড স্পিকারের মাধ্যমে এক গ্রাম থেকে আর এক গ্রামে খবর পৌঁছে যাবে, যাতে তাঁরা দ্রুত ধর্ণাস্থলে জড়ো হতে পারেন।
প্রায় ১৭টি পঞ্চায়েতের প্রধান, যাঁদের নিয়ন্ত্রণে প্রায় ৩০০ এর বেশি গ্রাম আছে- তাঁরা খাটকার টোল প্লাজার “মহাপঞ্চায়েতে” মিলিত হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ঝিন্দ জেলার ধাদন পঞ্চায়েত প্রধান আজাদ পল্বর কথায়- “গাজীপুরের ঘটনা যদি এখানে পুনরাবৃত্তি হয়, তাহলে মন্দিরের লাউড স্পিকারেই খবর গ্রামে পৌঁছে যাবে। আর খুব শিগগিরই আমরা রাস্তা অবরোধ করব, যদি না ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। সরকারের পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রাখা উচিৎ।”
তিনি আরও বলে ধর্ণায় শুধুমাত্র জাতীয় পতাকা ও কৃষক আন্দোলনের পতাকা আনতে বলা হয়েছে। রাজনৈতিক দলের পতাকা আনতে পারবেন না কেউ। বিজেপি-আর এস এস এর সাথে যুক্ত পরিবারদেরকেও সামাজিক বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, হরিয়ানা জুড়ে বিভিন্ন অঞ্চলে পঞ্চায়েত থেকে বিজেপিকে সামাজিক বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। যতদিন না সরকার ৩টি কৃষি আইন বাতিল করছে ততদিন এই ফতোয়া জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধানরা।
এদিকে ৩রা ফেব্রুয়ারি কৃষক নেতা রাকেশ আসবেন ঝিন্দ জেলার কান্ডেলা গ্রামে। সেখানে কৃষকদের জনসভায় বক্তৃতা দেবেন তিনি। গাজীপুরে জোর করে কৃষকদের বলপূর্বক সরিয়ে দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এই কান্ডেলা গ্রামের কৃষকরাই ঝিন্দ-চন্ডীগড় হাইওয়ে অবরোধ করেছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন