ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়নস (UFBU) -এর ডাকে সরকারি ব্যাঙ্কগুলির বেসরকারীকরণের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার থেকে দুই দিনের দেশব্যাপী ব্যাঙ্ক ধর্মঘট শুরু হয়েছে। একথা জানিয়েছেন, অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন (এআইবিইএ) এর সাধারণ সম্পাদক সি এইচ ভেঙ্কটাচলাম। দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ইউনিয়নের যৌথ মঞ্চ ইউএফবিইউ।
বৃহস্পতিবার ভেঙ্কটাচলাম বলেন, এই ধর্মঘট কেন্দ্রীয় সরকারের পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলিকে (PSB) বেসরকারীকরণের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে এবং সংসদের বর্তমান অধিবেশনে ব্যাঙ্কিং আইন (সংশোধন) বিল, ২০২১ পেশ করার বিরুদ্ধে।
এদিন তিনি জানান, এই বিল পাস হলে সরকার PSB-তে তাদের ইকুইটি মূলধন কমিয়ে ৫১ শতাংশের কম করতে পারবে এবং ব্যক্তিগত ক্ষেত্রগুলিকে ব্যাঙ্ক দখল নেওয়ার অনুমতি দেবে। তিনি আরও বলেন, সরকার এর আগে বলেছিল যে তারা দুটি ব্যাংককে বেসরকারীকরণ করবে। তাঁর মতে, সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের প্রায় ১০ লাখ ব্যাঙ্ক কর্মচারী এদিনের ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন।
ধর্মঘটের কারণে, মুম্বাই, চেন্নাই এবং দিল্লিতে চেক ক্লিয়ারিং গ্রিডের কাজ প্রভাবিত হবে এবং কয়েক হাজার কোটি টাকার চেক ক্লিয়ার করা যাবে না বলে অনুমান করা হচ্ছে।
ভেঙ্কটাচলাম বলেছেন যে বুধবার দিল্লিতে অনুষ্ঠিত সমঝোতা বৈঠকে, যেখানে ভারতীয় ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশন (আইবিএ) এবং অর্থ মন্ত্রকের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ইউনিয়নগুলির পক্ষ থেকে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে ব্যাংকিং আইন (সংশোধনী) বিল ২০২১ এর প্রবর্তন প্রত্যাহারের আশ্বাস দিলে তারা ধর্মঘট পিছিয়ে দেবে।
তার মতে, PSB-এর সামনে সবথেকে বড়ো সমস্যা হচ্ছে বিশাল অঙ্কের নন-পারফর্মিং অ্যাসেট (NPAs), যার মধ্যে প্রধান অংশই বড় কর্পোরেটদের। এছাড়াও “পূর্ববর্তী সরকারগুলি ঋণ পুনরুদ্ধার ট্রাইব্যুনাল, সারফায়েসি আইন (SARFAESI), আইবিসি, ইত্যাদির মতো উদ্যোগ নিয়েছে। যদিও কোনোটিতেই কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া যায়নি এবং সেই কারণে শেষ পর্যন্ত ব্যাঙ্কগুলি সেই ঋণগুলিকে বড়ো লোকসানের কারণে বাতিল করতে বাধ্য হয়।”
তিনি আরও বলেন, এ থেকেই স্পষ্ট যে কর্পোরেট এবং বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলির ইচ্ছাকৃত খেলাপির কারণে ব্যাঙ্কগুলিকে এই সংকটের মধ্যে পড়তে হয়েছে। এটা কোনোভাবেই ব্যাঙ্ক জাতীয়করণের ব্যর্থতা নয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন