আগামী ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর দেশজুড়ে ব্যাঙ্ক ধর্মঘট হতে চলেছে। এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ব্যাঙ্কের সব কর্মী সংগঠন নিয়ে গঠিত ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন (ইউএফবিইউ)। পাশাপাশি বুধবার যৌথ বিবৃতি দিয়ে ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ বিল প্রত্যাহারের দাবি জানাল কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ও কর্মী ফেডারশন ও অ্যাসোসিয়েশন সমূহ। ফোরাম জানাচ্ছে, বেসরকারিকরণ ঠেকাতে তাদের ধর্মঘট সফল করার জন্য প্রচার চালাবে শ্রমিক সংগঠন।
ফোরাম জানাচ্ছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের টাকা জনগণের। সেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের অর্থ কর্পোরেটদের হাতে জনগণের টাকা তুলে দেওয়া। এভাবে দেশে বড় বড় কর্পোরেট ঋণখেলাপীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে ব্যাঙ্ক। কেন্দ্রের অজুহাত, সরকারি ব্যাঙ্ক দক্ষ নয়। তাই দক্ষতা বাড়াতে তাদের বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।
সব কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে লাগাতার প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন (বিকেইউ) নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেছেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দরকার ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ রুখে দেওয়া। চলতি বছরে বিলগ্নি থেকে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা তোলার লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রের।
১৯৬৯ এবং ১৯৮০ সালে দুই দফায় মোট ৩৪টি ব্যাঙ্কের রাষ্ট্রায়ত্তকরণ হয়। মূলত বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত ব্যাঙ্কে সাধারণ মানুষের সঞ্চয়ের অর্থ লোপাট হওয়া ও ব্যাঙ্ক রক্ষায় রাষ্ট্রায়ত্তকরণের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র।
আগে মনে করা হয়েছিল যে, কয়েকটি বড় ব্যাঙ্ককে সংযুক্ত করে শেয়ার বিক্রি করা হতে পারে। কিন্তু নীতি আয়োগের পরামর্শ মতো এখন সরাসরি বেসরকারি কর্পোরেটের হাতে ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক ও ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্র ব্যাঙ্ক তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
সামনের বছরেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। মোট ছ’টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা চলছে। সেই মর্মে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় খসড়াও পেশ হয়েছে বলে খবর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন