কোনো সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে কোনো লাভ নেই, কারণ তারা অন্য নাম নিয়ে ফের কাজ শুরু করে। বুধবার কেন্দ্র পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI) এবং এর সহযোগী সংস্থাগুলিকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার পর এই মন্তব্য করেছেন সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। এই প্রসঙ্গেই ইয়েচুরি বলেন, আরএসএসকে তিনবার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, তারা কি কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে?
বুধবার থিরুবনন্তপুরমে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় ইয়েচুরি জানান, "নিষেধাজ্ঞা কোনো সমাধান নয়। অতীতেও নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো একটি নতুন নাম নিয়ে ফের কাজ শুরু করেছে। সিমি-কে দেখুন, এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং তারপর কী হয়েছে।"
এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে এবং বুল ডোজারের রাজনীতিও বন্ধ করতে হবে।"
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, "বেআইনী কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন, ১৯৬৭ (১৯৬৭-এর ৩৭) এর ধারা ৩-এর উপ-ধারা (১) দ্বারা প্রদত্ত ক্ষমতার প্রয়োগে, কেন্দ্রীয় সরকার এতদ্বারা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI) এবং তার সহযোগীদের বা রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন (RIF), ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (CFI), অল ইন্ডিয়া ইমামস কাউন্সিল (AIIC), ন্যাশনাল কনফেডারেশন অফ হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন (NCHRO), ন্যাশনাল উইমেনস ফ্রন্ট, জুনিয়র ফ্রন্ট, এমপাওয়ার ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং রিহ্যাব ফাউন্ডেশন সহ অনুমোদিত সংস্থা বা ফ্রন্ট, কেরালা-কে একটি 'বেআইনি সমিতি' হিসাবে নির্দিষ্ট করেছে।"
বিজেপি সভাপতি কে. সুরেন্দ্রন পিএফআই-এর সঙ্গে শাসক বাম-ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লিগের সংযোগ ছিন্ন করা সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তরে, ইয়েচুরি পাল্টা বলেন যে, সাংবাদিকদের সত্যতা সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হওয়া উচিত।
তিনি অযাচিত পরামর্শ দিচ্ছেন জানিয়ে ইয়েচুরি বলেন, "হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ ব্যবহার করে এগোনোর চেষ্টা কোন কাজে আসবে না। সাংবাদিকদের বাইরে গিয়ে খবর খুঁজতে হবে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন