প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে তৈরি BBC-র তথ্যচিত্র দেখানো হয়েছে হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
মঙ্গলবার, এক রিপোর্টে NDTV জানিয়েছে, 'হায়দরাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিবিসি'র তথ্যচিত্র স্ক্রিনিং (প্রদর্শন) করেছে স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন (SIO) ও ফ্র্যাটারনিটি মুভমেন্ট (Fraternity Movement) নামে দুটি ছাত্র সংগঠন। এই প্রদর্শনে অংশ নিয়েছিল ৫০-র অধিক শিক্ষার্থী।'
এই নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে BJP-র ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP)। এবিভিপি ছাত্র নেতা মহেশ বলেন, 'আয়োজকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছি। ক্যাম্পাস প্রাঙ্গনে অনুমতি ছাড়াই স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে।'
পুলিশ জানিয়েছে, 'আমরা জানতে পেয়েছি যে, কিছু শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের ভিতরে তথ্যচিত্রটি স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন করেছিল। কিন্তু কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
গত মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি), 'দ্য মোদী কোয়েশ্চেন-১' নামে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম BBC। যেখানে ২০০২ সালে গুজরাট গণহত্যায় রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু, বিবিসি’র এই তথ্যচিত্রের প্রচার টুইটার (Twitter) এবং ইউটিউব (YouTube)-এ আটকে দিয়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক।
গতকালই কেন্দ্রকে নিশা করে কংগ্রেস নেতা গৌরব বল্লভ (Gaurav Vallabh) বলেন, ''মেক ইন ইন্ডিয়া', 'স্টার্টআপ ইন্ডিয়া'র মতো ভারত সরকারের একটি স্কিম আছে, যার নাম 'ব্লক ইন ইন্ডিয়া'। সরকার এই মুহূর্তে কোন কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে নারাজ। বিবিসির সদর দপ্তর যদি দিল্লিতে অবস্থিত হত, তাহলে হয়তো এতক্ষণে ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) সেখানে পৌঁছে যেত।'
অন্যদিকে, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি (Arindam Bagchi) বলেছেন, 'ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে ওই তথ্যচিত্রে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। বস্তুনিষ্ঠ কোনও বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ওই তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়নি।'
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju) টুইটারে লিখেছেন, 'ভারতের কিছু লোক এখনও ঔপনিবেশিক নেশা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তারা বিবিসিকে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ঊর্ধ্বে মনে করে এবং তাদের নেতাদের খুশি করার জন্য দেশের মর্যাদা এবং ভাবমূর্তিকে যে কোনও মাত্রায় ক্ষুন্ন করতে পারে।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন