কংগ্রেসের স্বার্থ বন্ধক রেখে কোনও বিরোধী জোটের সাথে পা মেলাবে না দল। যদি জোট করতেই হয়, তাহলে কংগ্রেসকেই নেতা মানতে হবে। বিরোধীদের লাগাতার আক্রমণের মাধ্যমে স্পষ্ট জানালেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।
সম্প্রতি, 'ভারত জোড়ো যাত্রা' নামে দেশব্যাপী এক নতুন কর্মসূচীর উদ্যোগ নিয়েছে কংগ্রেস। সেই কারণেই বিরোধীদের নিয়ে এবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেন জয়রাম রমেশ।
জয়রাম বলেন, ইতিমধ্যেই ভারত জোড়ো যাত্রা যাত্রা আশাতীত সাফল্য লাভ করেছে। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী যাত্রাপথে প্রতিদিনই দেশের অসংখ্য মানুষের সাথে দেখা করছেন। এই কর্মসূচীর ফলে কংগ্রেস দেশের মানুষের হারানো সর্মথন পুনরায় ফিরে পাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, প্রথমত ভারত জোড়ো যাত্রা মূলত কংগ্রেস দলকে শক্তিশালী করার নতুন পদক্ষেপ। শক্তিশালী কংগ্রেস ছাড়া বিরোধী ঐক্য তৈরী হতে পারে না। দ্বিতীয়ত, যেসব রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের সাথে জোট করতে ইচ্ছুক, তারা যেন মনে রাখে যে জোট করা মানেই কংগ্রেসের শক্তি ক্ষুন্ন হওয়া নয়।
এআইসিসি সাধারণ সম্পাদকের কথায়, জোট করে কংগ্রেসের থেকে সবকিছু নেবেন অথচ বিনিময়ে কিছু দেবেন না, তা হবে না। এখনও পর্যন্ত দেখা গেছে, দেশের সব বিরোধী দলই কংগ্রেসকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছে।
এই ভারত জোড়ো যাত্রাকে হাতিয়ার করে কেরলে সিপিআই(এম), পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস এবং দিল্লি ও পাঞ্জাবের আম আদমি পার্টিকে কার্যত এক হাত নিয়েছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে বিজেপির উত্থানের মূল কারণই হল তৃণমূল।
যদিও কংগ্রেসের 'ভারত জোড়ো' যাত্রার তীব্র সমালোচনা করেছে বামপন্থী দলগুলি। তাদের অভিযোগ, বাম শাসিত রাজ্য কেরালায় ১৮ দিন ধরে চলবে কংগ্রেসের 'ভারত জোড়ো যাত্রা'। অন্যদিকে, আরএসএস পরিচালিত-বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের এই যাত্রার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র ২ (দুই) দিন।
পাল্টা সাংবাদিক বৈঠকে রমেশ জানান, ভারত জোড়ো যাত্রা বিরোধীদের ঐক্য যাত্রা নয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন