উত্তরপ্রদেশের দলিত নেতা তথা ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ ঘোষণা করলেন যে তিনি আগামী বছরের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লড়বেন বলে ঘোষণা করেছিলেন তিনি। তারপর পিছিয়ে আসেন।
এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন – “আমি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম কিন্তু সেই সময়ে আমার কোনো দল ছিল না বলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হয়ে ওঠেনি। মায়াবতী (বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান) আমাকে বলেছিলেন যে বিরোধীদের ভোট ভাগ করার পরিবর্তে আমি যেন তাঁর প্রার্থীকে সমর্থন করি।”
তিনি আরও বলেন – “উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়া আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমি মনে করি যে যোগী আদিত্যনাথের বিধানসভায় থাকা উচিত নয়। তাই তিনি যেখানেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আমি সেখানেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।” উল্লেখ্য, চন্দ্রশেখর আজাদ নিজের রাজনৈতিক দল ‘আজাদ সমাজ পার্টি’ গঠন করেছেন। নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন – “যদি আমরা নিজেরাই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি, তাহলে আমরা দলিত, মুসলমান বা অনগ্রসর বর্ণের প্রার্থীদের যেখানেই পারব প্রার্থী করব”।
যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়তে বহুজন সমাজবাদী পার্টি অথবা সমাজবাদী পার্টিকে প্রার্থী না দিতে তিনি অনুরোধ জানাবেন কিনা প্রসঙ্গে বলেন- “আমাকে বিজেপিকে থামাতে হবে। এবং এর জন্য আমি তাদের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থীকে থামাতে চাই। হয় বেহেনজীর (মায়াবতী) তার সাথে লড়াই করবেন অথবা আমাকে একা লড়াই করতে দেবেন। এই দুটোর মধ্যে যেকোন একটা হবে। লোকেরা জানে যে আমি ‘টিকাউ’, ‘বিকাউ’ ( বিক্রি হওয়ার হয়) নয় এবং আমি পালাব না”।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে সাহারানপুরে দলিত ও উচ্চবর্ণের ঠাকুরদের সংঘর্ষের পরে ‘ভীম আর্মি’ পরিচিতি পায়। সংঘর্ষের পর চন্দ্রশেখর আজাদকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও এলাহাবাদ হাইকোর্ট তাকে জামিন দেয়। তারপর উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তাকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (NSA) অধীনে গ্রেপ্তার করে। ১৬ মাস জেলে থাকার পর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি মুক্তি পান।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন