ভীমা কোরেগাঁও মামলায় সমাজকর্মী সুধা ভরদ্বাজের জামিনের বিরোধিতা করে এনআইএ'র দায়ের করা আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। তিন বছরের বেশি সময় ধরে আনলফুল অ্যাকটিভিটিস প্রিভেনশন অ্যাক্ট (UAPA)-এ বন্দি থাকা সুধা ভরদ্বাজকে গত ১ ডিসেম্বর জামিন দেয় বোম্বে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ।
সুধা ভরদ্বাজকে ডিফল্ট বেল দিয়েছিল বোম্বে হাইকোর্ট। যেখানে বলা হয়েছে তদন্ত দীর্ঘায়িত করে আটকে রাখার মেয়াদ বাড়িয়ে রাখার এখতিয়ার নেই কোনো আদালতের। বিচারপতি এস এস শিন্দে এবং বিচারপতি এন জে জমাদারের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছিল। পাশাপাশি এও বলা হয়েছিল আগামী ৮ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ের বিশেষ এনআইএ আদালত সুধা ভরদ্বাজকে মুক্তি দেওয়ার তারিখ এবং শর্তগুলো যেন জানিয়ে দেয়। এই মুহূর্তে মুম্বাইয়ের বাইকুল্লা জেলে বন্দি রয়েছেন বর্ষীয়ান এই মানবাধিকার কর্মী।
বোম্বে হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল এনআইএ। আজ শীর্ষ আদালতে এনআইএ'র প্রতিনিধিত্বকারী অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আমান লেখি বলেন, ডিফল্ট বেল মঞ্জুর করার সময় UAPA-এর কিছু ধারা বিবেচনা করেনি হাইকোর্ট। কিন্তু তাঁর এই যুক্তি অস্বীকার করে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, এস আর ভাট এবং বেলা এম ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চ বলে, "হাইকোর্টের রায়ে হস্তক্ষেপ করার মতো কোনো কারণ দেখছি না আমরা। তাই এই আবেদন খারিজ করা হলো।"
২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি পুনের নিকটবর্তী ভীমা কোরেগাঁওতে এক জাতিগত দাঙ্গার ঘটনায় চক্রান্ত করার অভিযোগে সুধা ভরদ্বাজ সহ মোট ১৬ জন সমাজকর্মী, আইনজীবী এবং শিক্ষাবিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুনে পুলিশের অভিযোগ এঁদের প্রত্যেকের সাথে মাওবাদীদের সম্পর্ক রয়েছে। যদিও এখনও তা প্রমাণ করতে পারেনি এনআইএ। বরং ম্যালওয়ারের মাধ্যমে ধৃত সমাজকর্মীদের ল্যাপটপে ভুয়ো 'প্রমাণ' ঢোকানো হয়েছিল, একাধিক ফরেনসিক রিপোর্টে সেই তথ্য উঠে এসেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন