নাগপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)-এর সদর দপ্তর। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করির বাড়ি। এখানে থাকেন রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশও। আর, সেই আসনেই মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদের নির্বাচনে বিজেপি জোটের প্রার্থীকে হারিয়েছেন মহা বিকাশ আঘাদি (MVA) জোটের প্রার্থী।
গত বছরের জুন মাসে, শিবসেনা থেকে বেরিয়ে বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধেন একনাথ সিন্ধে। মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করেছে বিজেপি-একনাথ সিন্ধে জোট। সেই রাজনৈতিক টানাপোড়েনের পর এটাই ছিল বড় নির্বাচন। আর, সেই নির্বাচনে গেরুয়া গড়েই বিজেপি জোটের প্রার্থী নাগো গানার (Nagorao Ganar)-কে পরাজিত করেছেন MVA জোটের প্রার্থী সুধাকর আদবালে (Sudhakar Adbale)। বিজেপির নাগো গানার পেয়েছেন ৬ হাজার ৩০৯ টি ভোট। বিপরীতে, MVA জোটের প্রার্থী সুধাকর আদবালে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭১ টি ভোট।
রাজ্যসভার মতো, রাজ্য বিধান পরিষদের সদস্যদের মেয়াদও ৬ বছর। সেই অনুযায়ী, চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি ৫ জন কাউন্সিল সদস্যের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এঁদের মধ্যে তিনজন হলেন শিক্ষক এবং দুজন হলেন স্নাতক নির্বাচনী এলাকা থেকে।
কোঙ্কণ শিক্ষক নির্বাচনী এলাকায় সর্বোচ্চ ভোট পড়েছিল ৯১.০২ শতাংশ। আবার, নাসিক ডিভিশনের স্নাতক আসনে সর্বনিম্ন ভোট পড়েছিল ৪৯.২৮ শতাংশ।
ঔরঙ্গাবাদ, নাগপুর এবং কোঙ্কন ডিভিশনের শিক্ষক নির্বাচনী এলাকায় যথাক্রমে ৮৬ শতাংশ, ৮৬.২৩ শতাংশ এবং ৯১.০২ শতাংশ ভোট পড়েছে৷
নাগপুর ছাড়াও, নাসিক বিভাগের স্নাতক আসনেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। এখানে কংগ্রেসের মধ্যে বিদ্রোহ দেখা গিয়েছে। তিনবারের কাউন্সিল সদস্য সুধীর তাম্বে এই আসনের জন্য কংগ্রেসের ঘোষিত প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু তিনি তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেননি। তিনি লড়াই থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে, তাঁর ছেলে সত্যজিৎ তাম্বে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেন। কংগ্রেস পরে উভয়কেই সাসপেন্ড করে। সত্যজিৎ তাম্বে বর্তমানে ভোটে এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন