৬০ ফুট লম্বা লোহার ব্রিজ বেমালুম চুরি হয়ে গেল। বিহারের রোহতাস জেলায় এই আস্ত ব্রিজ চুরির ঘটনার পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব শনিবার ব্রিজ চুরি সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, চোরেরা নীতিশ কুমার এবং বিজেপিকে দেখে উৎসাহিত হয়েছে। কারণ এঁরা ২০২০ সালে রাজ্যের সরকার চুরি করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে বিধানসভা নির্বাচনে অল্পের জন্য পরাজিত হবার পর থেকে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব ভোট গণনায় কারচুপি এবং ভোটে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ করে থাকেন।
এদিন এক ট্যুইট বার্তায় তেজস্বী বলেন, যখন নীতিশজী এবং বিজেপি রাজ্যের সরকার চুরি করতে পারে তখন একটা ব্রিজ চুরি এমন কোনও বড়ো ঘটনা নয়। চোরেরা নীতিশ কুমার এবং বিজেপির কাছ থেকে উৎসাহ পেয়েছে কারণ এঁরা জনতার রায় চুরি করেছিলো।
তেজস্বীর অভিযোগ, গত ১৭ বছর ধরে রাজ্য শাসন করছেন নীতিশ কুমার এবং বিজেপি। রোহতসে ৪৫ বছরের পুরোনো ৫০০ টনের এক ব্রিজ চুরির সম্পূর্ণ দায় এদেরই। চোরেরা গ্যাস কাটার নিয়ে, জেসিবি মেশিন নিয়ে এসেছে এবং প্রকাশ্য দিবালোকে ব্রিজ চুরি করেছে। এঁরা নীতিশ কুমার এবং বিজেপির কাছ থেকে উৎসাহ পেয়েছে।
জানা গেছে, চোরেরা রাজ্য সরকারের অধীন সেচ দপ্তরের আধিকারিক সেজে ওই অঞ্চলে আসে। মাত্র তিন দিনের মধ্যে গ্যাস কাটার এবং জেসিবি ব্যবহার করে ওই ব্রিজকে টুকরো টুকরো করে অবশিষ্টাংশ নিয়ে চলে যায়। উল্লেখযোগ্য ভাবে এই কাজ করার সময় তাঁরা স্থানীয় সেচ দপ্তরের কর্মী, গ্রামের মানুষের সাহায্য নেয়। যতক্ষণে সেচ দপ্তরের স্থানীয় অফিসাররা চুরির বিষয়ে বুঝতে পারেন তার আগেই চোরেরা পুরো ব্রিজ লোপাট করে দেয়।
১৯৭২ সালে আমিয়াওয়ার গ্রামে আরা খালের ওপর এই ব্রিজ তৈরি হয়। নসরিগঞ্জ পুলিশ স্টেশন সংলগ্ন ওই অঞ্চলের এই ব্রিজটি অনেক পুরোনো ছিলো এবং এই ব্রিজকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করা হয়েছিলো। স্থানীয়রাও এই ব্রিজ ব্যবহার করতেন না। বদলে এই ব্রিজ সংলগ্ন নতুন কংক্রীটের ব্রিজ ব্যবহার করতেন।
- with IANS inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন