রাজ্যসভার টিকিট পেলেন না কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আর সি পি সিং। তাঁর পরিবর্তে ঝাড়খন্ডের প্রাক্তন বিধায়ক খিরু মাহাতোকে রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। ফলে, আগামী ৭ জুলাই রাজ্যসভায় মেয়াদ শেষের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা থেকে বিদায় নিতে হবে আর সি পি সিংকে।
জানা যাচ্ছে, ২০১৯-এ বিজেপির জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরে নীতিশ কুমারের দাবি ছিল অন্তত দুটি ক্যাবিনেট মন্ত্রী আর দুটি রাজ্যমন্ত্রীর পদ। কিন্তু বিজেপি তা মানেনি। সেই সময় নীতিশ কুমারের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে মোদীর মন্ত্রীসভার সদস্য হয়েছিলেন আর সি পি সিং।
মূলত, দলীয় লাইন অমান্য করে বিজেপির সঙ্গে বেশি মাখামাখির জেরে আর সি পি সিংকে তৃতীয়বারের জন্য আর রাজ্যসভার টিকিট দেয়নি জনতা দল ইউনাইটেড (JDU)।
জানা যাচ্ছে, আর সি পি সিং-এর মতো খিরু মাহাতও কুর্মি সম্প্রদায়ের। তবে দু’জনের মধ্যে পার্থক্য হল আরসিপি সিং বিহারের নালন্দার বাসিন্দা আর খিরু ঝা়ড়থণ্ডের হাজারিবাগ জেলার বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত, সময় যত এগিয়ে যাচ্ছে, বিহারে বিজেপির সঙ্গে নীতিশ কুমারের জনতা দলের মধ্যে সম্পর্কে ফাটল ততো দীর্ঘ হচ্ছে। আর, আরসিপি সিং-এর রাজ্যসভায় টিকিট না পাওয়া নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে দলের অন্দরে। তবে জল্পনা থামাতে আসরে নেমেছেন জেডিইউ নেতা উপেন্দ্র খুসওয়া। তিনি জানিয়েছেন, আর সি পি সিং আমাদের শ্রদ্ধেয় নেতা। মুখ্যমন্ত্রীর পরেই কাউকে যদি আমরা শ্রদ্ধা করি তবে তিনি আর সি পি সিং।
আগামী ১০ জুন রাজ্যসভা ভোট। তার জন্য জনতা দল ইউনাইটেড যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে জায়গা পেয়েছেন খিরু মাহাতো। এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন জেডিইউ-র সর্বভারতীয় সভাপতি রাজীব রঞ্জন সিং। তিনি জানিয়েছেন, 'খিরু মাহাতো একজন সাধারণ গরিব পার্টি কর্মী। এভাবেই আমরা সাধারণ পার্টি কর্মীকেও সম্মান জানাচ্ছি, যাঁরা প্রথম থেকে আমাদের সঙ্গে ছিলেন। আমরা বিহারের বাইরেও এবার সংগঠনকে বিস্তার করতে চাই।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন