বিহারে বিজেপি এবং তার শাসক জোটের অংশীদার জেডি(ইউ)-এর মধ্যে সম্পর্ক দিন দিন খারাপ হচ্ছে। সম্প্রতি নালন্দা বিষ মদ কান্ডে ১৩ জনের মৃত্যু হবার পর যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার করে বিজেপি এবং জেডি(ইউ) একে অন্যকে হুমকি দিচ্ছে তা আগামী দিনে বিহারে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সম্প্রতি জেডি(ইউ) কে কটাক্ষ করে, বিজেপি ওবিসি শাখার জাতীয় সাধারণ সম্পাদক নিখিল আনন্দ এক ট্যুইট বার্তায় জানিয়েছেন: "ছোট দলগুলি বড় দলগুলির কাজের ধরণ বুঝতে পারে না। তারা কোনো বড়ো গোষ্ঠী নাকি ছোটো দল সেই পরিচয় তাদের নিজেদের কাছেই স্পষ্ট নয়। সেই দিন বেশি দূরে নয় যেদিন তাদের নতুন জায়গা খুঁজতে হবে।"
আনন্দের বিবৃতির পেছনে অন্য অর্থ খুঁজছে রাজনৈতিক মহল। বিহার বিধানসভায় বর্তমানে বিজেপির দখলে ৭৪টি আসন আছে। অন্যদিকে বিজেপির জোটসঙ্গী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জেডিইউ-এর আছে ৪৫টি আসন। তা সত্ত্বেও বিহারে নীতিশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী পদ দিয়ে রাজ্যে সরকার এনডিএ।
নিখিল আনন্দের এই বক্তব্যের পরেই জেডি(ইউ) এর সর্বকনিষ্ঠ মুখপাত্র অভিষেক ঝা বলেন: "@নিখিল আনন্দজী: মানুষকে তাঁর উচ্চতা অনুযায়ী বিবৃতি দেওয়া উচিত। আপনি যদি আকাশে থুথু ফেলেন তবে তা আপনার উপরেই পড়ে। দয়া করে এটি পরিষ্কার করুন। ঈশ্বর আপনাকে সাহায্য করতে পারেন।"
এর আগে গত ১২ জানুয়ারী রাজ্যের বিজেপি প্রধান সঞ্জয় আগরওয়ালকে আক্রমণের নিশানা করেছিলেন অভিষেক ঝা। নালন্দার বিষ মদ কাণ্ডে নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলে তিনি অভিষেকের বিরাগভাজন হয়েছিলেন।
১৫ জানুয়ারী মুখ্যমন্ত্রীর জেলা নালন্দায় বিষ মদ ট্র্যাজেডিতে ১৩ জনের মৃত্যুর পর রাজ্য বিজেপির সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়াল রাজ্যে মদ নিষেধাজ্ঞার ব্যর্থতার জন্য নীতীশ কুমার সরকারের নিন্দা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে রাজ্যে মদ নিষিদ্ধের ব্যর্থতার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পুলিশ এবং মাফিয়াদের যোগসাজশ দায়ী। তিনি দোষী আধিকারিকদের গ্রেপ্তারির দাবি তুলেছিলেন এবং নিহতদের কাছে গিয়ে তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন