দোড়গোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। মঙ্গলবার বিহার মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ চুক্তিভিত্তিক শিক্ষককে স্থায়ী শিক্ষকের মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
দ্রুততার সঙ্গে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন নীতিশ কুমার। এনিয়ে সাংবাদিকদের সামনে বিহারের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এস সিদ্ধার্থ জানান, "এই বিষয়ে শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি জারি করবে রাজ্য সরকার। এরপরই এই চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকরা, যাঁরা গত বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন রাজ্য পরিচালিত স্কুলে শিক্ষকতা করছেন, তাঁরা সরকারি কর্মচারীর মর্যাদা পাবেন। পাশাপাশি তাঁদের ‘এক্সক্লুসিভ শিক্ষক’ হিসাবে বিবেচিত করা হবে। এই বিষয়ে আগেই প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল। মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে বিষয়টিতে অনুমোদন দেওয়া হয়।"
তবে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের স্থায়ী শিক্ষকের মর্যাদা পেতে একটি পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। জানা গেছে, বিহার স্কুল এক্সামিনেশন ওই পরীক্ষাটি নেবে। এই পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই স্থায়ী শিক্ষকের মর্যাদা দেওয়া হবে। তবে যারা ইতিমধ্য়েই বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরিচালিত টিচার্স রিক্রুটমেন্ট এক্সাম পাশ করেছেন, তাদের আর নতুন করে পরীক্ষা দিতে হবে না।
এবিষয়ে সিদ্ধার্থ জানান, "একজন সরকারি কর্মচারীর মর্যাদা অব্যাহত রাখার জন্য চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের দক্ষতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এই পরীক্ষায় পাশ করা বাধ্যতামূলক। এই বিষয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই পরীক্ষায় পাশ করার তিনটি সুযোগ পাবেন কর্মীরা।"
এইভাবে স্থায়ী হওয়া শিক্ষকদের বেতন সম্পর্কে এদিন তিনি বলেন, "যোগ্যতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশন (BPSC) দ্বারা নির্ধারিত নির্দেশিকা অনুসারে এঁদের বেতন কাঠামো সংশোধন করা হবে।“
তিনি বলেন, এটি রাজ্য সরকারের একটি বড় সিদ্ধান্ত কারণ চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকরা গত কয়েক মাস ধরে সরকারি কর্মচারীর মর্যাদা দাবি করে আসছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন