বিহারে বিষ মদ কান্ডে নিহতদের পরিবার পিছু ৫ হাজার টাকা বিলি করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিহার বিজেপি-র প্রধান সঞ্জয় জয়সোয়াল। সোমবার পশ্চিম চম্পারণে নিজের লোকসভা কেন্দ্রেই গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন এই বিজেপি সাংসদ। বিক্ষোভের জেরে ওই এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন বিজেপি নেতা।
সোমবার স্থানীয় নৌতন পুলিশ স্টেশনের অধীন তেলাহুয়া গ্রামে গিয়ে বিষ মদ কান্ডে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সঞ্জয় জয়সোয়াল। কালীপুজোর রাতে বিষ মদ পান করে এই গ্রামে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গ্রামবাসীদের সঙ্গে বিজেপি নেতার আলাপচারিতার সময় নেতার সঙ্গীরা মৃতদের পরিবারের হাতে একটি করে খাম তুলে দেয়। গ্রামবাসীদের বলা হয় সাংসদ চলে গেলে ওই খাম খুলে দেখতে।
যদিও গ্রামবাসীরা তখনই ওই খাম খুলে দেখতে পান প্রতি খামে ৫০০ টাকার ১০টি করে নোট আছে। একথা স্থানীয় মিডিয়াকে জানিয়েছেন গ্রামবাসী রাধেশ্যাম সিং।
গ্রামবাসীরা খামে থাকা টাকা দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং সাংসদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে শুরু করেন। পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝে দ্রুত স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় এলাকা ছাড়েন বিজেপি নেতা সঞ্জয় জয়সোয়াল। সাংসদের সঙ্গে থাকা দলবলকে তাড়া করে গ্রামের মানুষ। তাঁদের লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসনের মদতেই অবৈধ মদের কারবার চলে এবং এর সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন, নেতা এবং মন্ত্রীরাও জড়িত আছেন।
যোগেশ কুমার নামক গ্রামবাসী সাংবাদিকদের জানান, প্রত্যেকে এই অঞ্চলে বেআইনি মদের ব্যবসা এবং গোপন আঁতাতের কথা জানে। কিন্তু কেউ মদ মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেনা। রাজ্যে কোথাও কোনো এই ধরণের ঘটনা ঘটলেই সঞ্জয় জয়সোয়ালদের মত নেতারা সেখানে যান এবং মানুষের সঙ্গে মস্করা করেন। মাত্র ৫ হাজার টাকা কোনো ক্ষতিপূরণ হতে পারে না। এতে মানুষের সঙ্গে বিদ্রূপ করা হয়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সঞ্জয় জয়সোয়াল জানান, আমরা প্রশাসনিকভাবে এই ঘটনার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেব। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে কমপক্ষে ৬০০ পুলিশ কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। মদ কান্ডে যুক্ত কোনো অপরাধীকে ছাড়া হবেনা।
- with Agency Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন