মদ নিষিদ্ধ বিহারে আবারও বিষ মদ খেয়ে মৃত্যু হল পাঁচ ব্যক্তির। আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও তিনজন। শনিবার সকালে নালন্দা জেলা থেকে এই খবর পাওয়া গেছে। মৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে শুক্রবার সন্ধ্যেয় তাঁরা দেশী মদ পান করেছিলেন এবং রাত থেকেই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এই ঘটনায় মৃত মান্না মিস্ত্রি (৫৫)-র এক আত্মীয় সুনীল কুমার জানান, গতকাল রাতে মদ খেয়ে ফেরার পর রাত ১১টা থেকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে দ্রুত সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ভোর ৪টে নাগাদ তিনি মারা যান। তিনি আরও জানিয়েছেন ছোটি পাহাড়ি এলাকায় এই মদ বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে তৈরি করা হচ্ছে।
এদিনের ঘটনায় মান্না মিস্ত্রি ছাড়াও মৃত্যু হয়েছে ভোগো মিস্ত্রি (৫৫) এবং ধর্মেন্দ্র ওরফে নাগেশ্বরের। বাকি দুই ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা যায়নি। আশংকাজনক অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন আরও কয়েক জন।
পুলিশ সূত্র অনুসারে, নালন্দা জেলার সোহাসারি পুলিশ থানার অন্তর্গত ছোটি পাহাড়ি অঞ্চলে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাচক্রে এই জেলাতেই রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের মূল বাড়ি এবং তিনিই রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ করেছেন।
ঘটনার খবর জানাজানি হতেই এসডিপিও শিবলি নোমানি এবং সোহাসারি পুলিশ স্টেশনের হাউস অফিসার সুরেশ প্রসাদ ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা জানিয়েছেন মৃত ব্যক্তিদের ময়না তদন্তের পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
জানা যাচ্ছে ছোটি পাহাড়িতে চার ব্যক্তির মৃত্যু ছাড়াও মানপুর পুলিশ থানার অন্তর্গত হারগাওয়া গ্রামে আরও দুই ব্যক্তির বিষ মদ পান করে মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে গত বছরের নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে সমস্তিপুরে বিষ মদ পান করে প্রায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়। বিষ মদ কান্ডে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর পর শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। এক ট্যুইট বার্তায় আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বলেন – গত ৩ দিনে বিষ মদে ৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসন, মাফিয়া, চোর পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তের বদলে যারা বিষমদ পান করেছেন তাঁদের সমালোচনা করছেন। প্রসঙ্গত, বিষমদ কান্ডে মৃত্যুর পর মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, খারাপ জিনিস খেলে আপনাকে চলে যেতেই হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন