কেবলমাত্র অন্তর্বাস পরে গোটা ট্রেনের মধ্যে ঘুরে বেড়ানোয় ইতিমধ্যেই জেডিইউয়ের বিধায়ক গোপাল মন্ডলকে ঘিরে তীর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এর ওপর ট্রেনের মধ্যে মাতলামি করার এবং সহযাত্রীর সোনার সেন-আংটি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠলো তাঁর বিরুদ্ধে।
প্রহ্লাদ পাসোয়ান নামে ওই যাত্রী ইতিমধ্যেই দিল্লির এক রেলওয়ে পুলিশ স্টেশনে নীতিশ কুমারের দলের বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। দলীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে জোড়া অভিযোগে অস্বস্তিতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গেছে ওইদিন জেডি(ইউ) বিধায়কের সঙ্গে ছিলেন বিজয় মণ্ডল, কুনাল সিং এবং দিলীপ কুমার। শুক্রবার সন্ধ্যে সাড়ে ৭টায় পাটনা থেকে ছাড়ে তেজস এক্সপ্রেস। রাত ৮.২৬ মিনিটে বিহিয়া স্টেশন দিয়ে ট্রেন যাবার সময় থেকে এই ঘটনা শুরু হয়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে নিউ দিল্লি স্টেশনের জিআরপি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিউ দিল্লি জিআরপিতে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। যেহেতু এই ঘটনা বিহারে ঘটেছে তাই অভিযোগ বিহারে পাঠানো হয়েছে।
পাসোয়ান তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন - হাতাকাটা সাদা গেঞ্জি এবং অন্তর্বাস পরে বিধায়ক যখন ট্রেনের মধ্যে ঘুরছিলেন তখন তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তাঁর এভাবে ঘোরাঘুরিতে আপত্তি জানাতেই তিনি আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। জোর করে আমার সোনার আংটি এবং চেন ছিনিয়ে নেন।
বিধায়কের বিরুদ্ধে পাসোয়ানের দায়ের করা অভিযোগ নথিভুক্ত করেছে দিল্লি পুলিশ। পরবর্তী তদন্তের জন্য আরা-র কাছে বিহিয়া জিআরপি-তে মামলাটি স্থানান্তর করেছে দিল্লি পুলিশ, কারণ এটা এই অধিক্ষেত্রের অধীনে পড়ে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার পাটনা-দিল্লি তেজস এক্সপ্রেসের এসি ফার্স্ট ক্লাস কম্পার্টমেন্টে ভাগলপুর জেলার গোপালপুরের বিধায়ক গোপাল মন্ডলকে কেবল অন্তর্বাস পড়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে। অন্তর্বাস পরিহিত বিধায়কের সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। সহযাত্রীদের অভিযোগ, বিধায়ককে ওই অবস্থায় দেখে অস্বস্তিতে পড়ে যান বগির মহিলা যাত্রীরা। একাধিকবার সতর্ক করলেও কোনো লাভ হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের।
এই প্রসঙ্গে বিধায়কের যুক্তি, তাঁর পেটের সমস্যা হয়েছিল। বারবার শৌচালয়ে যেতে হচ্ছিল তাঁকে। তাই অন্তর্বাস পরেই ঘুরছিলেন তিনি। মহিলাদের অস্বস্তির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বগিতে কোনো মহিলাই ছিলেন না। তিনি বলেন, আমি যখন পাটনা থেকে ট্রেনে উঠি তখন অন্তর্বাস পরে বাথরুমে গেছিলাম। আমি মিথ্যে বলছি না। আমি সবসময় সত্যি বলি।
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন