হিন্দু দেব-দেবী সম্পর্কে নিজস্ব মত প্রকাশ করা নিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বিহারের ভাগলপুর জেলার পিরপাইন্টি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক লালন পাসোয়ান। বুধবার, হিন্দুদের দেবতার প্রতি অগাধ বিশ্বাস এবং তার প্রকৃত অবস্থান উপযুক্ত 'প্রমাণ' ও 'যুক্তি' সহকারে ব্যাখ্যা করার কথা বলেছেন বিজেপি বিধায়ক। যার জেরে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।
এই ঘটনার জেরে ভাগলপুরের শেরমারি বাজারে লালন পাসোয়ানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয় এবং তার কুশপুত্তলিকাও পোড়ানো হয়।
শুধু তাই নয়, মি: পাসোয়ান দীপাবলিতে লক্ষ্মী পুজো করা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাঁর কথায়, "লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করলেই যদি আমরা ধন-সম্পদ পাই, তাহলে মুসলমানদের মধ্যে কোটিপতি ও ট্রিলিওনিয়ার থাকত না। মুসলমানরা তো লক্ষ্মীর পূজা করে না, তারা কি ধনী নয়? তারা তো দেবী সরস্বতীরও পূজা করে না। তাদের মধ্যে কি স্কলার নেই? তারা কি আইএএস (IAS) বা আইপিএস (IPS) হবে না?
বিজেপি নেতার কথায়, "আত্মা এবং পরমাত্মা" ধারণাটি কেবলমাত্র মানুষের বিশ্বাসের উপর বেঁচে আছে।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আপনি যদি বিশ্বাস করেন তবে এটি একটি দেবী এবং যদি না করেন তবে এটি কেবল একটি পাথরের মূর্তি। আমরা দেব-দেবীতে বিশ্বাস করি কি না তা আমাদের ব্যাপার। কিন্তু, বৈজ্ঞানিক ভিত্তির মাধ্যমে আমাদের যৌক্তিক উপসংহারে পৌঁছাতে হবে। আপনি যদি অযৌক্তিক কোনও কিছু বিশ্বাস করা বন্ধ করেন, তাহলেই আপনার বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।"
মি: পাসোয়ান আরও জানান, "কিছু মানুষ বিশ্বাস করেন, বজরংবলী একজন শক্তিসম্পন্ন দেবতা এবং শক্তি প্রদান করেন। মুসলিম বা খ্রিস্টানরা তো বজরঙ্গবলির উপাসনা করে না। তারা কি শক্তিশালী নয়? যেদিন আপনি এই সব বিশ্বাস করা বন্ধ করবেন, সেদিন এই সব কিছুই শেষ হয়ে যাবে।"
উল্লেখ্য, এর আগে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) নেতা লালু প্রসাদ যাদবের সাথে একটি বিশেষ কথোপকথন ফাঁস করার অভিযোগে বিতর্কের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন লালন পাসোয়ান। এরপর হিন্দু দেবতাদের সাথে মুসলমানদের সরাসরি তুলনা টেনে ফের বিতর্কের জন্ম দিলেন লালন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন